এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > ক্ষোভের জেরে দলীয় নেতাদের পার্টি অফিসে তালা দিয়ে আটকে রাখলেন কর্মীরা তীব্র অস্বস্তিতে বিজেপি

ক্ষোভের জেরে দলীয় নেতাদের পার্টি অফিসে তালা দিয়ে আটকে রাখলেন কর্মীরা তীব্র অস্বস্তিতে বিজেপি


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল এখন চরম আকার ধারণ করেছে। যেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি করা তাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত, সেখানে নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দল সামলাতেই এখন সবথেকে বড় অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এবার মঙ্গলকোটের পার্টি অফিসে বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক সহ একাধিক নেতাকে তালা বন্ধ করে রাখলেন দলের কর্মীরা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল! যেখানে বিজেপি নিজেদের শৃঙ্খলা পরায়ন দল বলে দাবি করে, সেখানে তাদের নেতাদের দলের কর্মীরা যেভাবে তালা বন্ধ করে রাখল, তা কি শৃংখলার পরিচয়! এখন তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। জানা যায়, মঙ্গলবার রাত আটটার সময় মঙ্গলকোটের বিধানসভার কৈচর বাসস্ট্যান্ডে বিজেপির পার্টি অফিসে দলীয় বৈঠক করতে যান জেলা সাধারণ সম্পাদক শিশির ঘোষ সহ একাধিক নেতা। কিন্তু সেই বৈঠক চলার সময় হঠাৎ করেই গন্ডগোল শুরু হয়।

যেখানে বাইরে বেরিয়ে এসে দলের একাংশ কর্মী পার্টি অফিস তালা বন্ধ করে দেন। এদিকে ভেতরে থাকা নেতারা তালা খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও, লাভের লাভ কিছুই হয়নি। পরবর্তীতে বাইরে দাঁড়িয়ে সেই সমস্ত কর্মীরা নেতাদের উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে শুরু করেন। পরে রাত দশটার সময় পুলিশ এসে সেই সমস্ত বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে।

কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল? কেন কর্মীরা এভাবে নেতাদের তালাবন্দী করে রাখল! এদিন এই প্রসঙ্গে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা রাজু রাজবংশী, বিজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মঙ্গলকোটের ৫১ নম্বর জেডপির মন্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দলের নেতারা স্বচ্ছতা রাখেননি। তাই আমরা নেতাদের পার্টি অফিসে তালাবন্ধ করে দিয়েছি। মন্ডল সভাপতি নির্বাচন কুমুদরঞ্জন দাস এবং অনুপ চৌধুরী নামে দুই নেতার মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা হচ্ছিল‌। তবে কুমুদরঞ্জনবাবুরই বেশি সমর্থন ছিল। তাকে পদ না দিয়ে অন্য একজনকে মন্ডল সভাপতি পদে বসানো হয়েছে। এটা আমরা কিছুতেই মেনে নেব না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে বিজেপি কর্মী দুর্যোধন মাঝি বলেন, “টাকা খেয়ে দলের জেলা নেতারা নিজেদের মনের মত লোককে পদ দিয়েছেন। যতদিন না স্বচ্ছতা আনা হবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।” কিন্তু এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে কি করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই দেবে বিজেপি? কেন বিজেপি নিজেদের ঐক্য স্থাপনে অপারগ! তৃনমূলের সঙ্গে যদি তারা লড়াই না করে নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এভাবেই বাড়াতে থাকে, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তাদেরকে ডোবাবে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যদিও বা এর পেছনে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শিশির ঘোষ। তিনি বলেন, “এর পেছনে তৃণমূলের মদত আছে। কিছু সাংগঠনিক সমস্যার কথা শুনেছিলাম। সেই সময় বাইরে থেকে আমাদের তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” যদিও বা এই ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে মঙ্গলকোট ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী বলেন, “এটা ওদের প্রতিদিনের ঘটনা। ওরা নিজেরাই গোষ্ঠী কোন্দলে জড়াচ্ছে। আর সেখানে তৃণমূলের নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লিড দিয়ে দেখিয়ে দেব।” তবে যে যাই বলুন না কেন মঙ্গলকোটে যেভাবে বিজেপি নেতাদের তালাবন্ধ করে কর্মীরা বিক্ষোভ দেখালেন, তাতে বিজেপি যে অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!