এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকে অনুপস্থিত দলের তিন বিধায়ক, বড়সড় ভাঙ্গনের আশঙ্কা গেরুয়া শিবিরে

খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকে অনুপস্থিত দলের তিন বিধায়ক, বড়সড় ভাঙ্গনের আশঙ্কা গেরুয়া শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বনগাঁয় বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, অশোক কীর্তনীয়া ও সুব্রত ঠাকুর। এমনকি বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে। এছাড়া জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডল বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন। কিন্তু এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি প্রতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। তিন বিধায়কদের এই অনুপস্থিতি দলকে বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

বিজেপি শিবিরের একাংশের মতে জেলা সভাপতির সঙ্গে দল পরিচালনার নিয়ে বেশকিছু মতবিরোধ রয়েছে শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর অনুগামীদের। এ কারণেই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে পারেন সাংসদ। তবে ইতিপূর্বে দলের রাজ্য সভাপতির বৈঠকে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর উপস্থিত ছিলেন না। এই তিন নেতাই মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এই তিন নেতাকে দলের বৈঠকে উপস্থিত হতে দেখা যাচ্ছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বৈঠকে অনুপস্থিতির কারণ সম্পর্কে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া জানিয়েছেন যে, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বাইরে ঘুরতে যাবার পরিকল্পনা ছিল। বৈঠকের কথা তিনি আগে জানতেন না। তাই তিনি বৈঠকে যোগদান করতে পারেননি। অন্যদিকে, বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর জানিয়েছেন যে, বৈঠকের কথা জানিয়ে কেউ ফোন করেনি তাঁকে। বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গত শুক্রবার বিজেপি কর্মী ঋষভ অধিকারীর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এ কারণে অত্যন্ত শোকাহত তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতারা কেউ দেখতে যাননি তাঁকে।

জেলার সাধারন সম্পাদক দেবদাস মন্ডল দিল্লিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি মনস্পতি দেব জানিয়েছেন যে, সকলকে বৈঠকের কথা জানানো হয়েছিল। তাঁরা বলেছেন ব্যক্তিগত কাজ থাকার জন্য বৈঠকে আসতে পারেননি তাঁরা। এভাবে একাধিক নেতার বৈঠকে অনুপস্থিতি দলের গোষ্ঠীকোন্দলকে যেমন সামনে এনে দিয়েছে, তেমনি দলের ভাঙ্গনের আশঙ্কাকেও অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত জানিয়েছেন যে, অনেকের ব্যক্তিগত কাজ বা পরিকল্পনা হয়তো আগে থেকেই ছিল। তাই তাঁরা আসতে পারেননি। তবে এতে দোষের কোন ব্যাপার নেই। যে কজন এসেছেন তাঁদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। বৈঠকের কথা গতকালই নির্ধারণ করা হয়েছিল। তাই অনেকে উপস্থিত থাকতে পারেন নি। তবে, দলের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এতজনের অনুপস্থিতির দলকে নানা প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবিরকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!