প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। এখন তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। গতকাল রাতে ছিল তাঁর সম্বর্ধনা সভা। এই সভাটি বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডল আয়োজন করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন না বিজেপির একাধিক বিধায়ক ও হেভিওয়েট নেতৃত্ব। যা থেকে দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলে অনেকের অভিমত। আর এই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

গতকালের এই সম্বর্ধনা সভাতে অনুপস্থিত ছিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি মনস্পতি দেব, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ পৌর মন্ডলের সভাপতি শোভন বৈদ্য সহ বেশ কিছু নেতৃত্ব। বনগাঁর মতিগঞ্জে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ প্রসঙ্গে মনস্পতি দেব জানিয়েছেন যে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি যোগদান করতে পারেননি। বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন যে, ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। শোভন বৈদ্য জানিয়েছেন যে, আমন্ত্রণ জানানোই হয়নি তাঁকে এই অনুষ্ঠানে। যা থেকে দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলে, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

ইতিপূর্বে বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস সহ বেশ কিছু নেতা দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যেমন উপস্থিত ছিলেন না, তেমনি অনুপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ডাকা বৈঠকেও। যা থেকে অনেকেই মনে করছেন যে, দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কয়েকটি শিবিরে ভাগ হয়ে পড়েছে বিজেপি। বিশেষত শান্তনু শিবিরের সঙ্গে মনস্পতি শিবিরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এ বিষয়ে গতকাল প্রশ্ন করা হয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের সামনে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, এটা নিয়ে তাঁদের ভাবতে হবে না। এটা নিয়ে ভাবা হলো দলের কাজ।