এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > খোদ কলকাতার বুকে তৃণমূল ও বিজেপির সভা করা নিয়ে গন্ডগোল, চাপানউতোর চরমে

খোদ কলকাতার বুকে তৃণমূল ও বিজেপির সভা করা নিয়ে গন্ডগোল, চাপানউতোর চরমে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট  আট দফা বিধানসভা নির্বাচনের প্রায় শেষ পর্বে উপস্থিত বাংলা। হাতে বাকি মাত্র আর দুই দফার নির্বাচন। ঠিক এই অবস্থায় তৃণমূল এবং বিজেপির চাপানউতোর ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল বেলগাছিয়াতে বিজেপির সভা মঞ্চ ভেঙে দেওয়া নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির ব্যাপক গন্ডগোল হয়। 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবার তৃণমূল এবং বিজেপির চাপানউতোর, তবে এবার মানিকতলায়। শনিবার বিকেলে মানিকতলায় বিজেপির সভা ছিল। সভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং কল্যাণ চৌবের। কিন্তু সেই সভার আগেই এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়ায়।

মানিকতলার সভায় বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বে সভা ছিল বিজেপির। বিকেল থেকেই বিজেপির সভার তোরজোড় শুরু হয়। কিন্তু দিলীপ ঘোষ সভায় আসামাত্রই শুরু হয় ব্যাপক উত্তেজনা। উপস্থিত বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ জানায়, দিলীপ ঘোষের সভা থেকে কুড়ি থেকে ত্রিশ মিটারের মধ্যে তৃণমূলের সভা চলছিল এবং সেখানে সাধন পান্ডের সমর্থনে সভা হচ্ছিল। মানিকতলা তৃণমূলের ওই সভায় কুনাল ঘোষ, সুজাতা খাঁ সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির অভিযোগ সেই সভার মাইক বিজেপির মঞ্চের কাছে বাজানো হচ্ছিল। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির তরফ থেকে কল্যান চৌবে জানিয়েছেন, অনুমতি সহকারে তাঁরা সভা করছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবেই তাঁদের সভার সামনে তৃণমূলের মাইক লাগানো হয়। পাশাপাশি অভিযোগ ওঠে, পুলিশকে সব জানানো সত্ত্বেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ পাল্টা বলেন, ভোটের ময়দানে নেমে যখন বিজেপি মানুষের সমর্থন পাচ্ছেনা, তখন তাঁরা মিথ্যা অভিযোগ করে তৃণমূলের বদনাম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে মানিকতলার 14 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা মদন মোহন সাহা অভিযোগ জানিয়েছেন, ওই এলাকায় যখন তৃণমূলের পোস্টার পড়ছিল, সে সময় তৃণমূলের পোস্টারের উপর বিজেপি পোস্টার লাগিয়ে যায়। বলতে গেলে ঝগড়া ঝামেলা হয়।

তবে এদিন তাঁরা অনুমতি নিয়েই মাইক লাগিয়েছিলেন। তারপরেও  ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপি ঝামেলা করছে। এদিনের ঘটনায় দুই শিবিরের বাকবিতন্ডা তীব্র আকার ধারণ করে বলে খবর। তবে এলাকায় পুলিশ থাকায় বাড়াবাড়ি কিছু হয়নি বলে জানা গেছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল এবং বিজেপির বাকবিতণ্ডা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে গন্ডগোলের খবর পাওয়া যাচ্ছে এই দুই শিবিরের। তবে এদিন সভা হওয়া নিয়ে যেরকম দুই শিবিরের বিতর্ক চরমে উঠলো, তাতে আগামী দিনে উত্তেজনা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!