প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – খোদ মদন মিত্রের গড় বলে পরিচিত বেলঘড়িয়াতে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হামলা, তৃণমূল কর্মীদের মারধর ও গুলি ছোড়ার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রাত ১০ টার সময়ে কামারহাটি বিধানসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে দেশপ্রিয় নগর তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে হঠাৎ উপস্থিত হয় বেশ কিছু দুষ্কৃতী। পার্টি অফিসের সামনে বসে থাকা তৃণমূল কর্মীদের ওপর হঠাৎ করে তারা চড়াও হয়। এরপর পার্টি অফিসের ভিতরে গিয়ে হামলা চলে তৃণমূল কর্মীদের উপর। এমনকি গুলি ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। মানস বর্ধন নামে এক তৃণমূল কর্মী এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে তৃণমূলের অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূল অভিযুক্ত করেছে বিজেপিকে। গতকাল রাতে গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। লোক জমা হতেই দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এই খবর পেয়ে গতকাল রাতেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। দলের আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে যান তিনি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি মোটর বাইক। ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যায় নি। প্রোমোটারি নিয়ে এমন হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। এ প্রসঙ্গে মদন মিত্র জানিয়েছেন যে, বিজেপি বুঝতে পারছে যে, তাদের দিন শেষ হয়ে গেছে। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে মুছে গেছে বিজেপি। ব্যারাকপুর, দমদমে বিজেপি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তাই তৃণমূলে দালাল তৈরি করার চেষ্টা চলছে। পয়সা খাইয়ে, নেশা করিয়ে দু-পয়সার ক্রিমিনালদের নামানো হচ্ছে। আজ থেকে তাঁরা রাতে পাহারা দেবেন। ডান্ডার পরিবর্তে দলের ঝান্ডা নিয়ে তাঁরা পাহারা দেবেন। দেখবেন কে কত বড় মস্তান?

এরপর, এ প্রসঙ্গে বক্তব্য রেখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মদন মিত্রের সমস্ত অভিযোগ তিনি খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের কালচারে বিজেপি বিশ্বাস করেনা। তিনি জানালেন গোলাগুলি চলেছে, পার্টি অফিস ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এটাই হল তৃণমূলের কালচার। যারা এসব করে তারাই তৃণমূলকে জেতাচ্ছে। তারাই পয়সা দিচ্ছে। আয়ের রাস্তা তো চাই। তাই নিয়ে গন্ডগোল চলছে। বিজেপি এই ধরনের কালচারে বিশ্বাস করে না। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, সমস্ত জায়গায়ই ভাগবাটোয়ারা নিয়ে অশান্তি করছে তৃণমূল।