এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > খোদ মমতার সাধের বিশ্ববাংলা হাসপাতাল থেকে কর্মী ছাঁটাই! ক্ষোভ-বিক্ষোভের আগুন আকাশ ছুঁচ্ছে!

খোদ মমতার সাধের বিশ্ববাংলা হাসপাতাল থেকে কর্মী ছাঁটাই! ক্ষোভ-বিক্ষোভের আগুন আকাশ ছুঁচ্ছে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জেলায় করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে জলপাইগুড়ি শহরে বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে বিশ্ববাংলা কোভিড হাসপাতাল করা হয়। এই হাসপাতালে বেশকিছু অস্থায়ী কর্মীদের নেওয়া হয়েছিল। তাঁরা করোনা সংক্রমণ কালে নিজেদের জীবন বাজি রেখে তাদের কর্তব্য করেছিলেন। এবার, করোনা সংক্রমণে লাগাম পড়তেই গতকাল মঙ্গলবার তাদের ছাঁটাই করার নির্দেশ দেয়া হলো হাসপাতালের পক্ষ থেকে। যে কারণে, গতকাল প্রচন্ড বিক্ষোভ দেখালেন কোভিড হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা।

গতকাল কোভিড হাসপাতাল থেকে অস্থায়ী কর্মীদের ছাঁটাই করার নির্দেশ দেয় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। কোভিড হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীদের কাজে না আসার নির্দেশ দেয়া হয় গতকাল। এরপর অস্থায়ী কর্মীরা প্রচন্ড বিক্ষোভ দেখান। চলে তাঁদের বিক্ষোভ মিছিল হাসপাতালের সামনে। আজ বুধবার থেকে তাঁরা কোভিড হাসপাতালের সামনে অনশনে বসতে চলেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই হাসপাতালের জনৈক অস্থায়ী কর্মী মানিক শর্মা জানালেন যে, তাঁরা এক মাস ধরে এই হাসপাতালে কাজ করছেন। এখন এভাবে তাদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে, তাঁরা কোন সদুত্তর পাননি। এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ডাক্তার গয়ারাম নস্কর জানালেন যে, সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী রোগী না থাকলে অস্থায়ী এই কর্মীদের কাজে রাখা সম্ভব হবে না। তবে, এরপর যদি স্বাস্থ্য দপ্তরে লোক নেওয়া হয়, তবে অবশ্যই তাদের কাজের সুযোগ দেয়া হবে।

এভাবে যারা জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন সেই অস্থায়ী কর্মীদের ছাটাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র শোরগোল পড়ে গেছে জেলা জুড়ে। এই ঘটনায় বিরোধীরা চেপে ধরেছে রাজ্য সরকারকে। ইতিপূর্বে, মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার ঘোষণা করেছেন যে, বহু কাজের সুযোগ তিনি রাজ্যে সৃষ্টি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, কাজ শেষ হলে বিজেপি কর্মীদের ছাটাই করে দেয়, কিন্তু তৃণমূল কখনোই তা করেনা।

আবার, তৃণমূলের পক্ষ থেকেও বারবার অভিযোগ করা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারছে না। দেশজুড়ে বেকারত্ব বাড়ছে ভয়াবহভাবে। তৃণমূলের দাবি, সারা দেশে বেকারত্ব বাড়লেও, তা রাজ্যে কমেছে। রাজ্যের মানুষকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে ১০০ দিনের কাজে কর্মদিবস সৃষ্টিতে ভারতবর্ষের মধ্যে সেরা হলো পশ্চিমবঙ্গ। এবার সরকারি হাসপাতাল থেকে এভাবে অস্থায়ী কর্মীদের ছাটাইয়ে তীব্র শোরগোল পড়ে গেল জেলাজুড়ে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!