প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা পরিস্থিতি বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্র এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ভারতবর্ষে আছড়ে পড়ায় তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শ্মশানে জ্বলতে শুরু করেছে আক্রান্তদের মৃতদেহ। প্রতিনিয়ত মৃত্যু মিছিল চোখে দেখা যাচ্ছে না।

আর এই পরিস্থিতিতে দেশের বিশিষ্ট মানুষজন থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা কেন্দ্র যাতে এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার জন্য দাবি জানাতে শুরু করেছেন‌। এবার সোশ্যাল মিডিয়া একটি ভিডিও পোস্ট করে “ক্ষমার অযোগ্য” বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দায়ী করলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিশিষ্ট অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ।

সূত্রের খবর, আজ টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন হেভিওয়েট এই তৃণমূল প্রার্থী্ যেখানে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শ্মশানে একের পর এক করোণায় আক্রান্তদের মৃতদেহ সাজানো রয়েছে। কোথাও আবার চিতা জ্বলছে। আর এরপরই এই সমস্ত কিছুর জন্য প্রধানমন্ত্রী দায়ী বলে দাবি করেন হেভিওয়েট এই তৃণমূল প্রার্থী।

তিনি লেখেন, “ক্ষমার অযোগ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজী আপনি এবং কেবলমাত্র আপনিই দেশে টিকা এবং অক্সিজেনের আকাল দেখা দেওয়ার জন্য দায়ী। ভারত ক্ষমা করবে না এবং ভুলবেও না।” স্বাভাবিক ভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তৃণমূল প্রার্থীর এই টুইট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দায়ী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সাংসদ তথা বিশিষ্ট অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। আর এবার তার পথেই হেটে প্রধানমন্ত্রীকে “ক্ষমার অযোগ্য” বলে পাল্টা আক্রমণ করলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। নিজের এই টুইটের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে প্রশ্ন তুলে দিয়ে কার্যত বিজেপির বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিলেন হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী।

নির্বাচনের মরসুমে এখন করোনা ভাইরাস প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেদিক থেকে গোটা দেশজুড়ে যখন এই ভাইরাসের ঢেউ আছড়ে পড়েছে, তখন একমাত্র প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে রাজনৈতিক আক্রমণের পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি তীব্র থেকে তীব্রতর করে তুললেন আসানসোল দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।