ক্ষমতায় আসতেই তোলাবাজি হেভিওয়েট নেতার, ব্যবসা বন্ধের হুঁশিয়ারিতে চাপে তৃণমূল! তৃণমূল বর্ধমান রাজনীতি রাজ্য May 31, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সদ্য বিরোধীদের নানা অভিযোগ এবং প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও, তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবারের নির্বাচনে বিরোধীদের পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তোলাবাজি সহ নানা বিষয় কে ব্যবহার করে প্রচার করা হয়েছিল কিন্তু এতসব সত্বেও 213 টি আসন নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস তবে ক্ষমতায় আসতে না আসতেই এবার তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে উঠল তোলাবাজি করার অভিযোগ। অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রীতিমতো রাস্তায় নেমে পড়লেন ব্যবসায়ীরা। এক্ষেত্রে শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, তাহলে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল ব্যবসায়ীদের। যার ফলে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে শাসক দল। বস্তুত, নানা সময় বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতা খোকন রুইদাসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। এক সময় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবার তাকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। আর বর্তমানে সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে দুর্গাপুরের মুচিপাড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই মুচিপাড়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে পুলিশকে একটি অভিযোগ জানানো হয়েছে। যেখানে মূল অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল নেতা খোকন রুইদাসের বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ী সমিতির অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে পুলিশ যদি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যার জেরে অনেকটাই অস্বস্তিতে শাসক দল। অনেকে বলছেন, এরআগে বহুবার খোকনবাবুকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তৃনমূল কংগ্রেসকে। আর তৃতীয়বার দল ক্ষমতায় আসার পর সেই খোকন রুইদাসের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলে দিলো ঘাসফুল শিবিরকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গৌতম রুইদাস বলেন, “এমনিতেই করাকরির জেরে 2-3 ঘণ্টার বেশি ব্যবসা হচ্ছে না। এই অবস্থায় এমন তোলাবাজি শুরু হলে ব্যবসা লাটে উঠবে। তাছাড়া ব্যবসায়ীদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। এর একটা বিহিত চাই।” যদিও বা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও, তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন সেই খোকন রুইদাস। এদিন তিনি বলেন, “মুচিপাড়া বাজারের ব্যবসায়ীদের একাংশের সঙ্গে মুচিপাড়া গ্রামের একাংশের বিবাদের জেরে এই ঘটনা। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।” যদিও বা গোটা ঘটনাকে তৃণমূল কোনোভাবেই সমর্থন করেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন 28 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অঙ্কিতা চৌধুরী। এদিন তিনি বলেন, “এই ধরনের ঘটনা আমাদের দল সমর্থন করে না। ভবিষ্যতে যাতে আরও এমন না হয়, সেটা চাই। দলের নাম করে যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তারা ঠিক করেননি।” বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। আর তার মধ্যেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এই ধরনের তোলাবাজির অভিযোগ নিঃসন্দেহে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিল শাসক শিবিরকে। ব্যবসায়ীরা তাদের আপত্তি তুলে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, পুলিশ দল এবং রং না দেখে অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে কি না! আপনার মতামত জানান -