এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ক্ষতিপূরণের টাকাতেও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে, বাড়ছে অস্বস্তি

ক্ষতিপূরণের টাকাতেও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে, বাড়ছে অস্বস্তি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ভয়াবহ দুর্যোগ এসে রাজ্যের শাসক থেকে বিরোধী নানা পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতির ঘটনাকে সামনে এনে দিল। ভয়াবহ ঝড়ের দাপটে অনেক গরিব মানুষের বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, সরকারের তরফে সেই সমস্ত মানুষদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছানোর কথা বলা হলেও, স্থানীয় স্তরে পঞ্চায়েতের অনেক জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের নিকটাত্মীয় বা ঘনিষ্ঠদের নাম সেই তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়েছে।

যার ফলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা টাকা পাওয়া অপেক্ষা রাঘববোয়ালরা আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন। অথচ তাদের বাড়ির কোনরূপ ক্ষতি হয়নি। যার ফলে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সরকারের এই আর্থিক সাহায্য দেওয়া নিয়ে।। আরএবার ক্ষতিপূরণের 20 হাজার টাকা পেতে গিয়ে 19 হাজার টাকাই চলে গেল কাটমানিতে।

বিস্ফোরক এই অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ 24 পরগনার বাসন্তীতে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। জানা গেছে, বাসন্তী পঞ্চায়েতের কালিডাঙ্গার 176 নম্বর বুথের সদস্য তৃণমূলের কাদের খান ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কাটমানি চেয়েছেন। আর ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে গিয়ে তৃণমূল নেতাকে কাটমানি দিয়ে 20000 টাকার মধ্যে 19 হাজার টাকাই চলে গেছে কালিডাঙ্গার বাসিন্দা আক্রম শেখের।

এদিন আক্রম শেখ বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্য কাদের বাড়ি এসে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং মোবাইল নম্বর নিয়ে যায়। পরে আমার অ্যাকাউন্টে কুড়ি হাজার টাকা ঢোকে। ওই টাকা থেকে জোর করে 19 হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।” অন্যদিকে 10000 টাকা না দিলে তালিকায় নাম তোলা হবে না বলে সেই তৃণমূল নেতা হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারেবারে দলকে শুদ্ধিকরণের প্রক্রিয়ায় হাঁটানোর পক্ষে সওয়াল করছেন। ভিডিও কনফারেন্স করে, প্রশাসনিক বার্তা দিয়ে বারবার নির্দেশ দিচ্ছেন, যাতে কেউ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত না হয়। যাতে মানুষের টাকা মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু তা করতে গিয়ে যেভাবে তৃণমূলের নিচুতলার জনপ্রতিনিধিরা বাড়ির ক্ষতিপূরণের টাকা মানুষকে পাইয়ে দিতে গিয়ে নিজেরা সেখান থেকে সিংহভাগ টাকা আত্মসাৎ করছেন, তাতে তৃণমূলের ভাবমূর্তি যে ব্যাপক পরিমাণে আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এর প্রভাব যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভোটবাক্সে পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। কেন তিনি মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন?

কেন এভাবে গরিব মানুষদের দেওয়া সাহায্য থেকে তিনি ভাগ বসাচ্ছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কাদের খান বলেন, “প্রধান আমাকে 10 জনের নামের তালিকা জমা দিতে বলেছিলেন। সেই মত আমি যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের নামের তালিকা জমা দিয়েছিলাম। কারো কাছে টাকা চাইনি। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমি পরিচিত লোকজনদের ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দিয়েছি, এটাও ঠিক নয়।” তাহলে কি সাধারণ মানুষ মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন?

বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল দোষ করবে, মানুষ অভিযোগ তুলবে, আর তারপর তৃণমূল নেতারা বেমালুম অস্বীকার করে যাবেন, এটাই তৃণমূলের পরিচয়। ওপরতলা থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হলেও, নিচুতলার নেতারা কোনোমতেই তা শুনবেন না। আসলে দুর্নীতি তৃণমূলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। অনেকে এটাও বলছেন, এরপর হয়ত অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে শোকজ বা সাসপেন্ড করবে তৃণমূল নেতৃত্ব‌।

কিন্তু পরপর নেতারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হবেন, তাদের শোকজ করা হবে। আবার নেতারা দুর্নীতি করবেন। এভাবে চলতে থাকলে সমস্যার সমাধান হবে কবে? কবে দুর্নীতিকে সমূলে উৎপাটিত করবে রাজ্যের শাসক দল! এখন এটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!