এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > খুব শীঘ্রই ৪ ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ? কেন্দ্রের নতুন পদক্ষেপে জল্পনা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে

খুব শীঘ্রই ৪ ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ? কেন্দ্রের নতুন পদক্ষেপে জল্পনা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এমনিতেই ব্যাংকের সুদ কমে গেছে। সাধারণ মানুষ এখন ব্যাংকে টাকা রাখার আগে একবার নয়, একশোবার ভাবেন। এই অবস্থায় মোদি সরকার দেশের অর্থনীতিতে গতি আনার জন্য ইতিমধ্যে ঘোষণা করে দিয়েছে, দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলি এবার বেসরকারিকরণ হতে চলেছে। বেসরকারিকরণের হাত ধরে বর্তমানে দেশের সাতাশটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক এসে ঠেকেছে 12 টি তে। আর এই বারোটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে এবার নামিয়ে আনা হচ্ছে পাঁচটিতে।

এই নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশের ওয়াকিবহাল মহলে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, রাজকোষের অর্থ এসে ঠেকেছে তলানিতে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দেশের নীতি আয়োগ কমিটি কয়েকটি ব্যাংকের বেসরকারিকরণের সুপারিশ করেছিল। সেই কাজ এবার দ্রুত মিটিয়ে নেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই পাঞ্জাব ও সিন্ধ ব্যাংক, ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র, ইউকো ব্যাংক ও আইডিবিআই ব্যাঙ্কের সরকারি শেয়ারগুলি বেসরকারি সংস্থার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হবে।

জানা যাচ্ছে, আগামী মার্চের মধ্যেই বেসরকারিকরণের ব্যাপারটি পুরোপুরি মিটিয়ে নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র ক্রমশ ব্যাংকিং সিস্টেম থেকে এবার সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নেবে বলে জানা গেছে। প্রথম ধাপ হিসেবে শুরু হচ্ছে উক্ত চারটি ব্যাংকের বেসরকারিকরণ। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য, 2024-25 অর্থবর্ষের মধ্যে ভারতকে 5 কোটি ডলারের অর্থনীতি হিসেবে তৈরি করা। আর সেক্ষেত্রে ব্যাংক সংযুক্তিকরণ এবং বেসরকারিকরণ এই কাজে গতি আনবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সরকারের দাবি, এর ফলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা যেরকম উন্নত হবে, ঠিক সেভাবেই প্রযুক্তি এবং ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়বে। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে থমকে যাওয়া অর্থনীতিকে অক্সিজেন যোগাতে এই বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, দেশের অর্থনৈতিক মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে, বেসরকারিকরণ হলে কি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পারবে কোন বেসরকারি ব্যাংক? সেক্ষেত্রে ব্যাংক দুর্নীতি, ঋণ কেলেঙ্কারি আরো বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

আর তাতে বিপদে পড়বে সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় ব্যাংক বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধেই মুখ খুলছেন অনেকে। যদিও তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত বদলাবার কোন লক্ষণ নেই। বরং সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার দিকেই দ্রুত কয়েক ধাপ এগোচ্ছে দেশ বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দেশজুড়ে বেসরকারীকরণের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের জোয়ার আনার দাবী জানালেও কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!