এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > খুনের মামলায় হাজিরা, তৃণমূলে যোগ দিতেই অস্বস্তি মুকুলের!

খুনের মামলায় হাজিরা, তৃণমূলে যোগ দিতেই অস্বস্তি মুকুলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর কৃষ্ণগঞ্জের প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় মাঝেমধ্যেই নাম জড়াতে দেখা গেছে তৎকালীন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। কিন্তু দুদিন হল তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও মামলার জটিলতা থেকে রক্ষা পেলেন না মুকুল রায়। এবার তৃণমূলে যোগ দিতে না দিতেই শাসকদলের প্রাক্তন বিধায়ককে খুনের মামলায় নাম জড়ানোর ঘটনায় হাইকোর্টে হাজিরা দিতে হবে তাকে। জানা গেছে, সোমবার এই খুনের মামলায় আদালতে উপস্থিত হতে হবে মুকুল রায়কে।

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় অস্বস্তি যেমন বাড়ছে, ঠিক তেমনই তৃণমূলের অন্দরমহলে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। এতদিন মুকুল রায় বিরোধী শিবিরে থাকার কারণে এই মামলার জালে তাকে চাপিয়ে রাখার চেষ্টা করত শাসক দল। কিন্তু এবার সেই মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পর তাকে রক্ষা করবার জন্য কি মামলার করালগ্রাস হালকা করে নেবে তৃণমূল এবং প্রয়াত বিধায়কের পরিবার, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2019 সালের 9 ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন একটি পুজো উদ্বোধন করে ফেরার সময় দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে খুন হয়েছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। আর তারপরই হাঁসখালী থানায় একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। যে ঘটনার তদন্তে নামে সিআইডি। গ্রেফতার করা হয় প্রায় পাঁচজন ব্যক্তিকে। ‌আর এরপরই দেখা যায় এফআইআরে নাম রয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং জগন্নাথ সরকারের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরবর্তীতে জগন্নাথ সরকারকে ডেকে জেরা করা হয়। আর এবার একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। যেখানে নাম রয়েছে মুকুল রায়ের। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। যখন এই মামলা শুরু হয়েছিল, তখন মুকুল রায় ছিলেন বিজেপি নেতা। কিন্তু এখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, ফলে এই মামলা নতুন করে অন্য দিকে মোড় নিতে পারে বলে মনে করছে একাংশ ।

এদিন এই প্রসঙ্গে প্রয়াত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী রুপালি বিশ্বাস বলেন, “স্বামীর মৃত্যুর সাথে মুকুল রায়ের যোগ সাদৃশ্য প্রমাণ হলে শুধু আমি কেন, দলও প্রশ্রয় দেবে না। এই বিশ্বাস আমার আছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে আইন আইনের পথে চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু। তবে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পর এই মামলা অন্যদিকে মোড় নিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

তিনি বলেন, “তৃণমূলের দ্বারা সবকিছুই সম্ভব। তবে আইনের উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে যে আমার নাম জড়িয়ে দেওয়া, সেটা আগামীতে প্রমান হয়ে যাবে।” অর্থাৎ সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় এফআইআরে নাম থাকা মুকুল রায় দলে যোগদান করলেও, যে তার ব্যাপারে নমনীয় হওয়া উচিত নয়, তাতে কার্যত একমত তৃণমূলের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সত্যজিৎবাবুর পরিবার। তবে এক্ষেত্রে কি পদ্ধতি গ্রহণ করে তৃনমূল কংগ্রেস, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!