এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিধানসভার আগে স্বস্তি? তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কি চিরতরে নির্মূল হবে? আসরে খোদ মমতা-অভিষেক

বিধানসভার আগে স্বস্তি? তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কি চিরতরে নির্মূল হবে? আসরে খোদ মমতা-অভিষেক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হুগলি জেলা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল কিছুতেই মিটতে দেখা যাচ্ছিল না। তাই অবশেষে সেই জেলার নেতা এবং বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করে কড়া ভাষায় ধমক দিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় প্রত্যেকেই জানিয়ে দিলেন, দলের শৃঙ্খলার ওপরে কেউ নয়। প্রত্যেককেই শৃঙ্খলা মান্যতা দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে হুগলি জেলা রাজনীতিতে।

সামনে বিধানসভা নির্বাচন তার আগে তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কোথাও যাতে কোনো গোষ্ঠী কোন্দল না হয়, তার জন্য দলীয় নেতাদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও হুগলি জেলায় কিছুতেই নেতারা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর চেষ্টা করছিলেন না। তাই এই পরিস্থিতিতে সেই দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য উদ্যত হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, সোমবার হুগলি জেলার দলীয় সংগঠন নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। আর সেই বৈঠক থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরিয়ে দেন। আর তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলি জেলার নেতাদের উদ্দেশে বলেন, “দলের উর্ধ্বে কেউ নয়। সকলকে শৃঙ্খলা মানতে হবে।” অর্থ্যাৎ হুগলি জেলার সংগঠনে একাধিক নেতার বাড়াবাড়ি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, তা তার এদিনের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, হুগলি জেলায় তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল থেকে শুরু করে বেচারাম মান্না এবং সাংসদ অপরুপা পোদ্দার বিভিন্ন সময় দলের বিরুদ্ধে এমন সব মন্তব্য করেছেন, যাতে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সেই দ্বন্দ্ব বন্ধ করবার জন্য বার্তা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। তাই এই পরিস্থিতিতে সেখানকার গন্ডগোল বন্ধ করার জন্য নেতাদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হল। তবে অতীতের মতো কড়া নির্দেশ পেলেও আদৌ জেলা নেতারা নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেবেন কি না, তা নিয়ে ব্যাপক সংশয় তৈরি হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বলেন, “বৈঠকে কাউকে কোনো ভর্ৎসনা করা হয়নি।” সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!