এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কি হলো রাজীব,পার্থ পিকের বৈঠকে, কি জানা যাচ্ছে ?

কি হলো রাজীব,পার্থ পিকের বৈঠকে, কি জানা যাচ্ছে ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসকদল তৃণমূলকে ভেতরে ও বাইরে দুদিক থেকেই লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ বাইরে আছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির ক্রমবর্ধমান চাপ। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যে নিজের শক্তি বাড়াচ্ছে বিজেপি, আর ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে শাসকদল তৃণমূলের। আবার, এই পরিস্থিতির মধ্যে শাসকদল তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা,মন্ত্রী, বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। অর্থাৎ দলকে ভেতরে ও বাইরে দুদিক থেকেই লড়াই করতে হচ্ছে।

তৃণমূলের বহু হেভিওয়েট দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে চলছে দলের ব্যাপক টানাপোড়েন। মন্ত্রিত্ব তিনি ছেড়ে দিয়েছেন, তবে দল এখনও দল ছাড়েন নি তিনি। কিন্তু আগামী দিনে তাঁর দল ছাড়ার একটা প্রবল জল্পনা বাড়ছে। আবার এর মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এক অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এরপর কামারপুকুরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের বাণীকে উদ্ধৃত করে এক ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। কামারপুকুরে ব্রাহ্মণদের এক সভা থেকে শ্রীরামকৃষ্ণের বাণী ‘ যত মত তত পথ ‘ কে উদ্ধৃত করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করতে গিয়ে যদি বাধা আসে তবে অন্য অনেক পথ খোলা আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে ধরে রাখতে সচেষ্ট হল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আজ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হলো শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতেই চললো এই বৈঠক দীর্ঘ দেড় ঘন্টা ধরে। আজ শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে দুপরে গিয়েছিলেন বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকের বৈঠক ফলপ্রসূ হল কি? এর উত্তরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কারভাবে জানান যে, গণতান্ত্রিকভাবে দল নিয়ে, দলের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কারোর ক্ষোভ থাকতেই পারে। তবে কথা বললে সেই ক্ষোভ মিটে যায়। আর এই বৈঠকে সন্তুষ্টির কোনো ব্যাপার ছিল না। দলের আগামী দিনের নীতি নির্ধারণ করতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল।

সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর পর বনমন্ত্রীকে নিয়ে শাসকদল তৃণমূলে যে ব্যাপক টানাপোড়েন, সে কারণেই কি দলের এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল? এর উত্তরে বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কারভাবে জানান যে, শুভেন্দু অধিকারীর বিষয়টি সম্পূর্ণ শুভেন্দু বাবুর ব্যক্তিগত। কিন্তু তাঁর বিষয়টি তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি অনুরোধ করেছেন যে, তাঁকে কারো সঙ্গে না জড়াতে। আজকের বৈঠকে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, দলের প্রতি কারোর ক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু বাকিটা উপযুক্ত সময় বলবে।
আজকের এই বৈঠক বনমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে, তাঁর ক্ষোভ দূর করে, তাঁকে দলে ধরে রাখতে পারে কিনা? তা নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেকের মনেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!