এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কি কারনে মন্ত্রিত্ব ও জেলা সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নিলেন এই মন্ত্রী?

কি কারনে মন্ত্রিত্ব ও জেলা সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নিলেন এই মন্ত্রী?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৬ সালে শাসকদল তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা লক্ষ্মীরতন শুক্লা। রাজনীতিতে তিনি যথেষ্ট সফলতাও অর্জন করেছিলেন। রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী যেমন তিনি হয়েছিলেন, তেমনি হাওড়ার জেলা সভাপতির পদ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আজ অকস্মাৎ মন্ত্রিত্ব ও দলের জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। অনেকে মনে করছেন, দলের গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই এই পদক্ষেপ নিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, মন্ত্রিত্ব ও দলের জেলা সভাপতির পদ প্রাপ্তির পর দলের কাজে দিনরাত এক করে দিয়েছিলেন মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা। কিন্তু দলের গোষ্ঠীকোন্দলের সঙ্গে তিনি কিছুতেই নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেননি। তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন যে, দলের জেলা নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে তাঁর বিশেষ বনিবনা ছিলনা। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, জেলা সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকেও, দলের কোন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি তিনি। তাঁর নিজের এলাকার অনুষ্ঠান থেকে ব্রাত্য ছিলেন তিনি।

দলের নেতৃত্বর একাংশের বারবার উপেক্ষা, অবমাননায় তিনি যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। সেকারণেই, মন্ত্রিত্ব ও দলের জেলা সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নিলেন তিনি। তৃণমূল সূত্রের খবর, হাওড়া জেলার অপর এক মন্ত্রী ও তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান অরূপ রায়ের সঙ্গে বিশেষ বনিবনা ছিল না তাঁর। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসার চেষ্টাও করেছিল। তাঁকে জেলা সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এর পরও সমস্যার সমাধান হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, হাওড়া জেলায় যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। যথেষ্ট ভাল কাজ করেছিলেন তিনি। বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন যথেষ্ট ভালোভাবেই তিনি। লকডাউনের সময় কালে ভালোভাবে কাজও করেছিলেন তিনি। কিন্তু, দলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে একটু একটু করে দলের সঙ্গে সম্পর্ক গুটিয়ে নিতে শুরু করেন তিনি। ১ লা জুলাই তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানেও তাঁকে আমন্ত্রণ করা হয়নি।

তবে, তিনি যে এত বড় পদক্ষেপ নেবেন, তা তিনি কাউকে জানতে দেননি। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও বেশ কয়েকবার বৈঠক করার সুযোগ পেয়েছিল দল, কিন্তু তিনি সেই সুযোগটাও দেননি। লক্ষ্মীরতন শুক্লা জানিয়েছেন, এখন কয়েকদিন বিশ্রাম নেবেন তিনি। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন। তবে, জনগণের ভোটে জয়লাভ করে বিধায়ক হয়েছেন তিনি। তাই বিধায়কপদ তিনি ছেড়ে দিচ্ছেন না। এখনই অন্য কোন দলে যোগ দিচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলেও তিনি জানিয়েছেন।

আজ মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তাঁর এই পদক্ষেপে যথেষ্ট মর্মাহত হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁকে মন্ত্রিত্বপদে ফিরে আসার আবেদন জানাবেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে একটি বড় ধাক্কা শাসকদল তৃণমূলের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!