এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কি অবস্থা, দুর্নীতি হলেও টাকা আটকানো যাবে না? আজব দাবি যুবরাজের!

কি অবস্থা, দুর্নীতি হলেও টাকা আটকানো যাবে না? আজব দাবি যুবরাজের!

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  রাজ্যে একশো দিনের কাজ এবং আবাস দুর্নীতিতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। যার কারণে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই সমস্ত প্রকল্পে রাজ্যকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সকলেই কেন্দ্রের এই পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। কারণ যখন রাজ্যের শাসক দলের নিচুতলার নেতারা সেই টাকায় থাবা বসাচ্ছেন এবং তা মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না, তখন সেই টাকা দিয়েও কি বা না দিয়েও কি? তবে তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ নস্যাৎ করে বাংলার প্রতি বঞ্চনা হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানিয়ে দিল্লিতে ধর্না দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এবার সেই বিষয় নিয়েও আজব এক দাবি শোনা গেল তৃণমূলের যুবরাজের গলায়। তার বক্তব্য, দুর্নীতি যদি হয়েও থাকে, তাহলে কেন বাংলার মানুষের টাকা আটকানো হবে?

একাংশের দাবি, বাংলার মানুষের পকেটেই যদি এই দুর্নীতি করে টাকাটা পৌঁছে দিত তৃণমূল কংগ্রেস, তাহলে সেই টাকা আটকে দিত না কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এই টাকা যাচ্ছে তৃণমূলের নীচুতলার নেতাদের পকেটে। ফলে শাসক দলের নেতারা ফুলেফেপে কলা গাছ হয়ে উঠছেন। কিন্তু মানুষ বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এতেই চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই আবার লাভের গুড় খাওয়ার জন্য প্রতিবাদ করে বাংলার প্রতি বঞ্চনা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে দিল্লিতে গিয়ে নাটক করার চেষ্টা বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূলের যুবরাজ আজব কথা বললেন। এদিন বাংলার মানুষের কষ্ট দেখে তার যেন প্রাণ বেরিয়ে যাচ্ছে, এমন একটা অবস্থা। কিন্তু বাংলায় যখন বেকাররা রাস্তায় পড়ে থাকেন, যখন শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা চাকরি পান না, তখন তিনি কোথায় থাকেন? বাংলার মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই তো কেন্দ্রীয় সরকার দুর্নীতি আটকে দিয়েছেন। সেই জন্যই তো বাংলাকে টাকা দিচ্ছেন না, তারা দুর্নীতিটা বন্ধ করে দিক। তাহলেই তো কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেবে, তাহলেই তো আর যুবরাজের এত কষ্ট হবে না। কিন্তু তারা এই সরল সত্যটা না বুঝে বাংলার মানুষকে যন্ত্রনা দেওয়া হচ্ছে বলে যে সিমপ্যাথি আদায়ের চেষ্টা করছেন, তাতে আর যাই হোক। বাংলার মানুষ পা দেবে না বলেই মত একাংশের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল নিজেদের দাবি নিয়ে দিল্লি যেতেই পারেন। কিন্তু তাদের সেই বঞ্চনার অভিযোগ কতটা ধোপে টিকবে, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। বাংলার মানুষ যন্ত্রণায় রয়েছে, বাংলার মানুষ কষ্টে রয়েছে, তাই টাকা কেন বন্ধ করা হবে! এই সমস্ত কথা তারা বলছেন। কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে যদি এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দুর্নীতির বন্ধ করা যেত, তাহলে আর কোনো জটিলতাই থাকত না। বাংলাও তার ন্যায্য টাকা পেয়ে যেত। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে স্বচ্ছতা। সেই কারণেই বাংলায় যখন ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে, তখন সেই টাকা আটকে দেওয়া হচ্ছে। আর তাতেই গাত্রদাহ শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। কিন্তু যেখানে তাদের কোনো স্বার্থ নেই, সেখানে তারা এসব নিয়ে কেন এত বেশি চিন্তিত? তাহলে বিরোধীরা যে অভিযোগ করছে যে, এই একশো দিনের কাজের টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে ঢুকছে, তা কি সত্যি? দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!