এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > কী উদ্দেশ্য নিয়ে কলকাতায় পাড়ি দিয়েছিল তিন জঙ্গি? গোয়েন্দাদের বক্তব্যে হাড়হিম হবার উপক্রম

কী উদ্দেশ্য নিয়ে কলকাতায় পাড়ি দিয়েছিল তিন জঙ্গি? গোয়েন্দাদের বক্তব্যে হাড়হিম হবার উপক্রম


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পর গত রবিবার দুপুরে হরিদেবপুর থানা এলাকা থেকে তিন বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করেছে কোলকাতা পুলিশের এসটিএফ। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য এরা। ফলওয়ালা, ছাতাওয়ালা, মশারিওয়ালা সাজা এই আপাত নিরীহ ৩ জঙ্গি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই এসেছিল কলকাতায়। যা শুনলে হাড়হিম হবার যোগার। গোয়েন্দাদের তদন্তে জানা গেছে, এই তিনজন খাগড়াগড় থেকেও বড় বিস্ফোরণ ঘটাবার পরিকল্পনা নিয়ে কলকাতায় এসেছিল। স্বাধীনতা দিবসের পূর্বেই ছিল বড়োসড়ো বিস্ফোরণ ঘটাবার চক্রান্ত। শেষ পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় ভেস্তে গেছে তাদের পরিকল্পনা।

বাংলাদেশ পুলিশের ব্যাপক তৎপরতায় সেখান থেকে কাজ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে সেখানকার নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জেএমবির। এ কারণেই ভারতের দিকে পাড়ি দিচ্ছে জঙ্গিরা। খাগড়াগড় বিস্ফোরণ ঘটার পর সেখানকার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আবার নতুন করে লেগে পড়ে জঙ্গিরা। খাগড়াগড় কান্ডের সময় দেখা গিয়েছিল অভিযুক্ত জঙ্গিরা কেউ রিক্সাওয়ালা, কেউবা ফলওয়ালা। এবারও এমন ঘটনা ঘটতে দেখা গেল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গোয়েন্দাদের অনুমান, মাত্র তিনজন নয় অন্তত ১৫ জন জঙ্গি ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গের আশেপাশের রাজ্যগুলিতে কমপক্ষে ৪০ জন জঙ্গি আত্মগোপন করে আছে। ধৃত ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আরো দুজন জঙ্গির কথা জানা গেছে। এই তিনজনই বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, রাজ্যে বোমা তৈরীর কারখানা করার পরিকল্পনা ছিল এই জঙ্গিদের। এর সঙ্গে সঙ্গে একটি ডাকাতি চক্র তৈরীর পরিকল্পনা ছিল এদের।

এই ডাকাতি চক্রর কাজ হবে বিভিন্ন বড় বড় গয়নার দোকান, শোরুম, ব্যাংক ইত্যাদিতে ডাকাতি করে জঙ্গী সংগঠনের জন্য অর্থ জোগাড় করা। জঙ্গিদের পরিকল্পনা ছিল রাজ্যের সমস্ত বাড়িতে বোমা রেখে আসা। ইতিমধ্যেই এই জঙ্গিদের জেরা করতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এনআইএর আধিকারিকেরা। তাঁদের তদন্তে আরো বেশ কিছু বিষয় উঠে আসতে পারে। তবে পুলিশের তৎপরতার কারণে স্বাধীনতা দিবসের আগেই একটি বড়সড় নাশকতা থেকে যে বেঁচে গেছে রাজ্য, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!