কিভাবে আনলক করলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে রাখা যাবে? উপায় বলে দিল কেন্দ্র অন্যান্য জাতীয় বিশেষ খবর শরীর-স্বাস্থ্য June 30, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট অনেকটা কমে এসেছে। দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কিছুদিন ধরেই ৫০ হাজারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৯৫১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু ঘটেছে মোট ৮১৭ জন মানুষের। সংক্রমণ কমে আসার কারণে বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে আনলক প্রক্রিয়া। এর ফলে বহু স্থানে জমতে শুরু করেছে ভিড়। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হঠাৎ করে লোক সমাগম বাড়ালে, তা থেকে আবার বাড়তে পারে সংক্রমণ, দেখা দিতে পারে করোনার তৃতীয় কেউ, এমন আশঙ্কা রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে আনলক করলে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তার উপায় রাজ্যকে জানাল কেন্দ্র। আনলক বিষয়ে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যগুলোকে ফাইভ-ফোল্ড পদ্ধতি অবলম্বন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফাইভ-ফোল্ড হলো টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট-ভ্যাকসিনেশন-করোনার চরিত্র বদলের দিকে নজর। এগুলোকে একত্রে করে ফাইভ-ফোল্ড পদ্ধতি সামনে এনেছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকে বেশি সংখ্যায় করোনা পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপর করোনা সংক্রামিত মানুষের সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাদের সঠিক তথ্য রাখা ও জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সঙ্গে সঙ্গে করোনা সংক্রমণ রোধ করতে দ্রুত ভ্যাকসিন দেবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আবার করোনার চরিত্র বদলের উপরে বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফাইভ-ফোল্ড পদ্ধতি জেলা ভিত্তিক কার্যকরী করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন যে, করোনা পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজ্যগুলিকে জেলাভিত্তিক পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ১০ লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে কতজন করোনা আক্রান্ত? তা চিহ্নিত করতে হবে। যেসব জেলায় অধিক পরিমাণে সংক্রমণ রয়েছে, সেই জেলা গুলিকে বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এই জেলাগুলিতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিকাঠামো দ্রুত গড়ে তুলতে হবে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, প্রতিটি জেলার ওপর কড়া ভাবে নজর রাখতে। কোথাও হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন হলে, বা কোথাও অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে সঠিক সময়ে তা কেন্দ্রকে জানাতে, যাতে কেন্দ্র দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। সম্প্রতি, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ স্থিমিত হয়ে এলেও, তৃতীয় ঢেউয়ের হাতছানি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। অগাস্ট মাসের শেষদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। করোনার নতুন স্টেন ডেল্টা প্লাস তৃতীয় ঢেউয়ের কারণ হতে পারে। সম্প্রতি দেশের মোট ১২ টি রাজ্যে করোনার নতুন স্টেন ডেল্টা প্লাস পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত দুজন মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে আনলক প্রক্রিয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে ব্যাপক জনসমাগম ঘটলে বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে, সতর্ক করা হয়েছে সমস্ত রাজ্যকে। আপনার মতামত জানান -