প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দিনেদিনে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে তৃণমূল। উত্তর থেকে দক্ষিনে ক্রমশ জাল বিস্তার করছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় যেমন তৃণমূল জাল বিস্তার করতে শুরু করেছে, তেমনি হাত বাড়িয়েছে আসাম রাজ্যের দিকে। কিন্তু এবার সুদূর দক্ষিণের রাজ্য গোয়াতেও খাতা খুললো তৃণমূল। কংগ্রেসে ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। গোয়ায় তৃণমূলের এই সাফল্য নিমেষের মধ্যে বিরাট অক্সিজেন যুগিয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। এবার রাজ্যে রাজ্যে তৃণমূলের বিস্তৃতির কারণটি জানালেন লুইজিনহো ফেলেইরো।

সম্প্রতি, সর্বভারতীয় এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লুইজিনহো ফেলেইরো জানালেন যে, অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করবেন না যে, তিনি কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেননি। তাঁরা দুজনেই জাতীয় স্তরের বড় নেতা হলেও, তাঁর সঙ্গে কখনো সাক্ষাৎ হয়নি তাঁদের। তিনি আইপ্যাক সংস্থার সঙ্গে ও প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবার আগে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন তিনি।

লুইজিনহো ফেলেইরো আরও জানিয়েছেন যে, কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত কঠিন ছিল তাঁর কাছে। কিন্তু বিজেপিকে পরাজিত করতে গেলে এ ছাড়া আর কোন বিকল্প রাস্তা তাঁর কাছে ছিল না। তৃণমূলে যোগ দেবার পরেও তিনি পিকের পরামর্শ নেবেন বলে জানিয়েছেন। এভাবে সুদূর দক্ষিনের এই রাজ্যে তৃণমূলের এই বড়োসড়ো যোগদানের পেছনে সম্পূর্ণ কাজ করছে প্রশান্ত কিশোরের চমৎকার, এমনটাই জানালেন লুইজিনহো ফেলেইরো।

প্রসঙ্গত, আগামী বছর গোয়াতে আছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই দলকে এক ধাক্কায় অনেকটা শক্তিশালী করে নিতে পেরেছে তৃণমূল। আর তৃণমূলের এই কাজে সর্বাগ্র ভূমিকা পালন করেছেন প্রশান্ত কিশোর। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বড়োসড়ো জয়লাভের পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তৃণমূল। আর একাজে তৃণমূলের বিরাট সহায়ক হয়ে উঠেছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তাঁর এই বিরাট ভূমিকার কথা স্বীকার করে নিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।