প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কয়েক মাস আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলারিও। এরপর সম্প্রতি তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠায় তৃণমূল। সকলকে ছেড়ে কি কারনে দলে নবাগত লুইজিনহো ফেলারিওকে রাজ্যসভায় পাঠালো তৃণমূল? এবার সে কথাই জানিয়ে দিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।

বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু জানালেন, দেউচা পাচামিতে রাজ্য সরকার কি করতে চাইছে? তা তিনি জানেন না। কিন্তু দেউচা পাচামী নিয়ে ইতিমধ্যেই চুক্তি হয়ে গেছে, বোঝাপড়া হয়ে গেছে, আবার আদান-প্রদান হয়ে গেছে গোয়ার একটি কোম্পানির সঙ্গে। তিনি অভিযোগ করেছেন, সম্প্রতি তৃণমূল যাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে, তার ঘনিষ্ঠ হল এই কোম্পানি।

অর্থাৎ, সরাসরি নাম না করেও লুইজিনহো ফেলারিওকেই নির্দেশ করেছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, এমনটাই মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল। এরপর তিনি আরও জানালেন, এখন অংক কষে দেখতে। সরকার যা যা করবে, তা বড় বড় ব্যবসায়ীর স্বার্থেই করবে। অধিগ্রহণ করা হলেও তা বড় ব্যবসায়ীর স্বার্থেই অধিগ্রহণ করা হবে।

এভাবে, সরাসরি নাম না করেও লুইজিনহো ফেলারিওকে নির্দেশ করে বিস্ফোরক বক্তব্য রেখে তৃণমূলের অস্বস্তি প্রবলভাবে বাড়িয়ে দিয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো বক্তব্য রাখতে দেখা যায়নি তৃণমূলকে। এক তৃণমূল নেতা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এ বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া উচিত হবে না। কার সঙ্গে কি বোঝাপড়া হচ্ছে? কি তার উদ্দেশ্য? তার সম্পূর্ণটা দলের মধ্যেই স্পষ্ট নয়।

আবার গোয়াতে মুখ্যমন্ত্রীর সফর তথা তৃণমূলের আনাগোনা নিয়ে ইতিপূর্বে বিজেপির রাজ্য নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়েছেন যে, বাংলার কয়লা নিয়ে এখন আর পেট ভরছে না তৃণমূলের। তাই তৃণমূল গোয়ায় গেছে মাটি খুঁড়ে লুটপাট করতে। কিন্তু সেখান থেকে তৃণমূলকে শুধু সমুদ্রের বালি নিয়েই ঘরে ফিরতে হবে।