এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > বাংলায় ক্ষমতায় এলেই প্রতি জেলায় খুলবে কারখানা! বিধানসভার আগে বড়সড় প্রতিশ্রুতি বিজেপির!

বাংলায় ক্ষমতায় এলেই প্রতি জেলায় খুলবে কারখানা! বিধানসভার আগে বড়সড় প্রতিশ্রুতি বিজেপির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই শাসক দল তৃণমূ্লের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিল নিয়ে রাজ্যে শাসক দল তীব্র বিরোধিতা করেছে। আর তাই নিয়েও রাজ্য সরকারকে ক্রমাগত বিঁধছে বিজেপি। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় বড়বৈনানে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি সভা করা হয় এবং এই সভায় উপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ মুকুল রায় ও অন্যান্য বিজেপি নেতাকর্মীরা।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখানেই প্রচার সেরে নিলেন বিজেপি নেতারা। এই সভা থেকেই এদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয় রাজ্যের যুবসমাজকে বার্তা দিলেন, ক্ষমতায় এলে তাঁদের চাকরি দেবার। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মতে, রাজ্যে তৃণমূলের শাসনকালে তৈরি হয়েছে আতঙ্কবাদী, নকশালবাদী। কোন শিল্প কলকারখানা হয়নি, কেউ চাকরি পায়নি। বরং 10000 কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয় পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজয়বর্গীয় বলেন, সারা দেশের কৃষকদের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি 6000 টাকা করে দিচ্ছেন সরাসরি তাঁদের অ্যাকাউন্টে। কিন্তু বাংলার কৃষকরা সে সুযোগ পাননি। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগ এনেছেন এদিন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রাজ্য পুলিশকেও ছেড়ে কথা বলেননি এই বিজেপি নেতা। তিনি রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেসব পুলিশ আধিকারিক সঠিক নীতি মেনে কাজ করছেন না, তাঁদের লিস্ট বানানো হয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির রাজ্যে এসে তাঁদের ব্যবস্থা করবে। অন্যদিকে মুকুল রায় এদিন সভা থেকে সমস্ত দলীয় কর্মীদের আশ্বাস দেন তিনি দলে থাকবেন এবং তাঁদের পাশে সবসময় থাকবেন।

মনে করা হচ্ছে, মুকুল রায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে মাথায় রেখেই এই আশ্বাসবাণী দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার বুকে তৃণমূল ও বিজেপি রাজনৈতিক সম্পর্কের উত্তাপ ক্রমশই বেড়ে চলেছে। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও চলছে জোরদার চর্চা। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে তোড়জোড়। আর সেক্ষেত্রে তৃণমূল এবং বিজেপির লড়াই যে প্রবল হতে চলেছে তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। বলা ভালো, দুই দলের কাছেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন একটি প্রেস্টিজ লড়াই হতে চলেছে। আপাতত বাংলার বুকে কে এগিয়ে থাকবে, সে কথা জানতে গেলে অপেক্ষা করতে হবে আরো বেশ কিছুদিন।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!