অবিশ্বাস্য! অভাবনীয়! রক্তচাপ বাড়ানো হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে শেষ বলে অকল্পনীয় জয় ছিনিয়ে নিল KKR! খেলা বিশেষ খবর October 10, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অবিশ্বাস্য? অভাবনীয়? অকল্পনীয়? ঠিক কোন ভাষায় ম্যাচ রিপোর্ট লেখা শুরু করব ভেবে উঠতে পারছি না! যে কোন ব্লকব্লাস্টার সিনেমার ক্লাইম্যাক্সকেও হার মানাল এদিনের কলকাতা বনাম পাঞ্জাব ম্যাচটি! ম্যাচের ১৭ তম ওভার পর্যন্ত অতি বড় কলকাতা সমর্থকও ভাবতে পারে নি এই ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্ট আসতে পারে। অথচ পুরো চিত্রটাই যেন বদলে গেল শেষ তিন ওভারে। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা। শেষ ম্যাচে একাই লড়াই করা রাহুল ত্রিপাঠি এই ম্যাচের প্রথমদিকে আউট হয়ে গেছিলেন। মোহম্মদ শামি তাকে ১২ রানেবোল্ড করেছিলেন। নীতিশ রানা মাত্র ২ রানে গিলের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন। তখন থেকেই রীতিমত চাপে পরে যায় কলকাতা ইনিংস। এরপর গিল ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মরগানকে (২৪) সঙ্গে নিয়ে স্কোরবোর্ড বেশ ভালোই এগিয়ে নিয়ে চলছিলেন। কিন্তু, এরপরেই দলীয় ৬৩ রানের মাথায় রবি বিষ্ণই-এর বলে ওভার বাউন্ডারি মারতে গিয়ে আউট হন মর্গ্যান। ক্রিজে আসেন এই টুর্নামেন্টে একদমই ফর্মে না থাকা অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। আর এসেই আজ স্বভাবসিদ্ধ মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন তিনি। কার্তিক ১৮ তম ওভারের তৃতীয় বলে নিজের অর্ধশতকটি পূর্ণ করেছিলেন। তিনি মাত্র ২২ বলে নিজের পঞ্চাশ রান পূর্ণ করেছিলেন। কার্তিকের হাফ সেঞ্চুরির পরে একটি বলে দুটি রান নেওয়ার চেষ্টায় গিল রান আউট হন। নিজের মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য বিখ্যাত আন্দ্রে রাসেল ক্রিজে এলেও তাকে কার্যত বোতল বন্দি করে রাখেন তরুণ আরশদীপ সিং। তার বলেই দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারকে। ইনিংসের শেষ বলে কার্তিক দ্বিতীয় রানটি নিতে গিয়ে রান আউট হন। অধিনায়ক তার ইনিংসে ২৯ বল খেলেছিলেন, যার মধ্যে আটটি চারটি এবং দুটি ছক্কা। পাঞ্জাবের হয়ে শামি, বিষ্ণই এবং আরশদীপ একটি করে উইকেট নিয়েছিলেন। আবু ধাবির স্লো উইকেটে এবং বড় বাউন্ডারির মাঠে কলকাতা লড়াই করার মত ১৬৪ রান বোর্ডে তুলে বোলিংয়ে নামে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপরেই কার্যত একতরফা পাঞ্জাব ব্যাটিং আর কলকাতার জঘন্য ব্যাটিংয়ের শো চলতে থাকে। পাঞ্জাবের দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও কেএল রাহুল গোটা ম্যাচ জুড়েই কলকাতার বোলারদের কার্যত গলিত ক্রিকেটারে পরিণত করে ছেড়েছিলেন। দুজনেই অনায়াসে হাফ সেঞ্চুরি করে। পাঁচ ওভারের পরে দুই ওপেনার যোগ করেছিল ৩৬ রান।৭ ওভারে স্কোর পঞ্চাশ ছাড়িয়েযায়। ১০ ওভারের শেষে, পাঞ্জাবের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৭৬ রান। ১৩ তম ওভারে কেএল রাহুল প্যাট কামিন্সে টানা দুটি চার মেরে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেছিলেন এবং দলের স্কোরকে ১০০ রানের গন্ডি পার করেছিলেন। একই ওভারে মায়াঙ্ক আগরওয়ালও অর্ধশতক পূর্ণ করেছিলেন। এরপরে ১৫ তম ওভারে, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ কলকাতাকে প্রথম সাফল্য দিয়েছিলেন। এবং সেটিই হয়ে উঠল কার্যত ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। প্রসিদ্ধর বলে মায়াঙ্ক আগরওয়াল ফিরে যান। এরপর তিন নম্বরে আসা নিকোলাস পুরান বড় ইনিংস খেলতে পারেননি এবং ১৮ তম ওভারে সুনীল নারিনের শিকার হন। তিনি ১০ বলে ১৬ রান করেছিলেন এবং এই ওভারে নারিন মাত্র ২ রান দিয়েছিলেন। শেষ দুই ওভারে পাঞ্জাবকে ২০ রান করতে হত। ১৯ তম ওভারে বল করতে আসেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। ওই ওভারে চতুর্থ বলে আউট হন প্রভাসিমরন সিং আর শেষ বলে রাহুল ৫৮ বলে ৭৪ রান করে বোল্ড হন। ১৯ তম ওভারে মাত্র ছয় রান সংগ্রহ হয়েছিল। শেষ ওভারে পাঞ্জাবকে ১৪ রান করতে হত জিততে গেলে। কার্তিক শেষ ওভারে আনেন সুনীল নারিনকে। প্রথম বলে দু রান করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। দ্বিতীয় বলে কোনও রান নেই। তৃতীয় বলে ম্যাক্সওয়েল একটি চার মারেন। শেষ তিন বলে আট রান করতে হত পাঞ্জাবকে। চতুর্থ বলে LBW-এর আবেদন করেছিলেন কেকেআর। পঞ্চম বলে আউট হন মনদীপ সিং। তিনি খাতা খুলতে পারেননি। শেষ বলে জয়ের জন্য সাত রান দরকার ছিল কিন্তু ম্যাক্সওয়েল একটি চার মারতে সক্ষম হন। তবে ম্যাক্সওয়েলের ওই শটটি বাউন্ডারি লাইন থেকে এক আঙুলেরও কম দূরত্বে ভেতরে পরায় তা চার হয়, নাহলে ওই শেষ বলে ছয় হলে – ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়াত। ফলে সবমিলিয়ে, কেএল রাহুল এবং মায়াঙ্ক আগরওয়ালের অর্ধশতক কার্যকর হল না এবং কার্যত শেষ বলে রক্তচাপ বাড়িয়ে পাঞ্জাবের হাত থেকে ম্যাচটি বের করে নেয় কলকাতা। আপনার মতামত জানান -