এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কবে হবে উপনির্বাচন? ক্রমশ কি সাংবিধানিক বিপাকের মুখে পড়তে চলেছেন মমতা ব্যানার্জ্জী?

কবে হবে উপনির্বাচন? ক্রমশ কি সাংবিধানিক বিপাকের মুখে পড়তে চলেছেন মমতা ব্যানার্জ্জী?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যর দীর্ঘদিন ধরেই উপনির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা হয়ে পড়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে রাজ্যের উপনির্বাচনের আর্জি জানানো হয়েছে। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও সদুত্তর আসেনি। অন্যদিকে যত সময় যাচ্ছে, ততই বাংলার উপনির্বাচন নিয়ে কার্যত চিন্তা বাড়ছে। কার্যত বিধায়ক হিসেবে না জিতেও রাজ্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। আর সে জায়গায় দাঁড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে রাজ্যের সাতটি আসনে উপনির্বাচন। অবশ্যই এর মধ্যে একটি আসনে জয় পেতে হবে তৃণমূল নেত্রীকে। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে উপ নির্বাচনের বিরোধিতা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভার নির্বাচনে 200 আসনের দাবি করলেও বিজেপিকে থামতে হয়েছে 77 এ। সেক্ষেত্রে নন্দীগ্রাম একমাত্র মুখরক্ষা করেছে তাঁদের। আর তাই নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ গেরুয়া শিবির বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত মুখ্যমন্ত্রী বলে কটাক্ষ করেছেন। সেক্ষেত্রে বিজেপির লক্ষ্য এখন উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগ করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে এই মুহূর্তে তিন মাস সময় রয়েছে। তার মধ্যে যেকোনো একটি আসনে উপনির্বাচনে তাঁকে জিততেই হবে। প্রসঙ্গত জানা গেছে, তৃণমূল সুপ্রীমো ভবানীপুর থেকেই লড়াইতে নামবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেখানে প্রাক্তন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জয় পেয়েও সরে দাঁড়িয়েছেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরে দাঁড়ালে অবশ্যই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় খড়দা থেকে লড়াই করতে পারেন। সেখানেও উপনির্বাচন হবে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী করোনা হয়ে মারা যাওয়ায়। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরের অবস্থা তথৈবচ। দলের সাংগঠনিক শক্তি প্রায় তলানিতে। এই অবস্থায় গেরুয়া শিবির উপনির্বাচনে লড়াইতে নামলে কতদূর তাঁদের জয় হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকছে। তাই গেরুয়া শিবির যেকোনো মূল্যে উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। সেক্ষেত্রে তাঁদের হাতিয়ার এই মুহূর্তে করোনা।

কোনভাবে যদি করোনা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে উপনির্বাচন এ বছর বন্ধ করে দেওয়া যায়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। কার্যত এটা নীতিগতভাবে তৃণমূলের হার এবং বিজেপির জয় বলে চিহ্নিত হবে রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা চাল দিয়ে রেখেছেন। তিনি কিন্তু জানিয়ে দিয়েছেন, উপনির্বাচন না হলে পুরভোট হবেনা। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়েও উপনির্বাচন করানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে গেরুয়া শিবির তাঁদের পরিকল্পনা সফল করতে শেষ পর্যন্ত পারে কিনা সে দিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!