এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কলকাতা এয়ারপোর্টের “সোনাকাণ্ড” নিয়ে স্পেশ্যাল রিপোর্ট জমা দিতে বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি

কলকাতা এয়ারপোর্টের “সোনাকাণ্ড” নিয়ে স্পেশ্যাল রিপোর্ট জমা দিতে বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি


সম্প্রতি রাজ্য শাসকদলের হেভিওয়েট শীর্ষ নেতার স্ত্রীর কাছ থেকে দুই কেজি সোনা কলকাতা বিমানবন্দরে উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। এমনকি এই ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করে পথে নামতে দেখা যায় বিরোধীদেরও। শুরু হয় প্রবল কাদা ছোড়াছুড়ি।

কিন্তু এতদিন এই দমদম বিমানবন্দরে সোনা কান্ড দেশের শীর্ষ আদালতের দরজায় না পৌঁছলেও এবার অন্য একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন তা কার্যত শীর্ষ আদালতের কক্ষে গিয়ে পৌঁছলো। সূত্রের খবর, শুক্রবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর এজলাসে সারদা মামলার শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল। আর সেখানেই পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার দুর্দশার কথা তুলে ধরেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা।

আর সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্যেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে উঠে আসে কলকাতা বিমানবন্দরের সোনা কান্ডের কথা। এদিন আদালতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে তুষার মেহেতা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা এতটাই উদ্বেগজনক হয়েছে যে কেন্দ্রীয় কোনো এজেন্সি আইনি পথে কাজ করতে গেলে রাজ্য পুলিশ তাদের বাধা দিচ্ছে। সম্প্রতি এই ব্যাপারে আমি একটি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত 15 এবং 16 ই মার্চ মধ্যরাতে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে দুই মহিলা কলকাতা বিমানবন্দরে নামার সময় তাদের কাছে সাতটি বড় ব্যাগ দেখে এক্সরে মেশিনের স্ক্যান করার সময় সন্দেহজনক জিনিস দেখতে পান কর্তব্যরত শুল্ক বিভাগের অফিসারেরা। স্বাভাবিকভাবেই ওই দুই মহিলাকে তখন তারা ব্যাগ খুলতে বলে তখন তারা অফিসারদের কথা না শুনে পুলিশকে ডাকেন। আর এরপরই শুরু হয় বচসা। আর তখনই পুলিশরা এসে সেই শুল্ক বিভাগের অফিসারদের কাজে বাধা দেন।

এমনকি রাজ্য পুলিশ সেই শুল্ক বিভাগের অফিসারদের গ্রেপ্তার করার হুমকি দেয়। আর এই ঘটনা থেকেই পরিষ্কার যে রাজ্য পুলিশ কিভাবে কাজ করছে!” এদিকে সলিসিটর জেনারেলের এহেন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এই মামলার সঙ্গে এর কোন প্রাসঙ্গিকতা নেই বলে জানিয়ে দেন।

আর এরপরই অভিষেক মনু সিংভিকে থামিয়ে দিয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে দমদম বিমানবন্দরের গোটা ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে জানানোর জন্য লিখিতভাবে একটি রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। আর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্পষ্ট যে, এবার কলকাতা এয়ারপোর্টের সোনা কান্ডের ঘটনা দেশের শীর্ষ আদালতে উঠতে চলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!