এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কলকাতার বুকে কংগ্রেসের রাজ্য দপ্তরে ঢুকে বিক্ষোভ বিজেপির! তুলকালাম রাজ্য-রাজনীতিতে

কলকাতার বুকে কংগ্রেসের রাজ্য দপ্তরে ঢুকে বিক্ষোভ বিজেপির! তুলকালাম রাজ্য-রাজনীতিতে

 

রাজনীতিতে শাসক বনাম বিরোধীর রাজনৈতিক তরজা লক্ষ্য করা গেছে। লক্ষ্য করা গেছে একে অপরকে উদ্দেশ্য করে বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনাও। কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অন্য রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ রাজপথেই সীমাবদ্ধ রেখেছিল। তবে এবার নজিরবিহীনভাবে একটি দলের বিক্ষোভ আরেকটি দলের রাজ্য সদর দপ্তর পর্যন্ত পৌছে গেল। যা নিয়ে এখন তুলকালাম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

বস্তুত, রাফাল রায়কে সামনে রেখে গোটা দেশজুড়েই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে গেরুয়া শিবির। সেইমতো দিল্লি থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির পক্ষ থেকে তাদের যুব মোর্চা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি করছে। আর বাংলায় বিজেপি তাদের যুব মোর্চাকে দিয়ে করানো এই বিক্ষোভ সরাসরি পৌঁছে দিল রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের সদরদপ্তরে।

জানা গেছে, এদিন বিজেপির প্রায় 30-40 জন যুব মোর্চা সমর্থক মিছিল করে সিআইটি রোডে অবস্থিত বিধান ভবনের সামনে এসে কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করে। আর এরপরই বিধান রায়ের মুক্তিতে ইট ছোড়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন কংগ্রেস কর্মীকে মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। আরে গোটা ঘটনাতেই প্রবল উত্তর উত্তেজনা সৃষ্টি হয় প্রদেশ কংগ্রেসের সদরদপ্তরে।

কেন এইভাবে বিজেপি তাদের রাজ্য দপ্তরে ঢুকে, তাদের কর্মীদেরকে মেরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে কংগ্রেস। বিজেপির বিক্ষোভে পাল্টা কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও মিছিল করে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি ঘটে। যাকে ঘিরে এলাকা আরও রনক্ষেত্র হয়ে পড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এদিন পুলিশের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়ার কারণেই যুব কংগ্রেসের প্রায় 52 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে যেভাবে তাদের সদরদপ্তরে ঢুকে বিক্ষোভ চালানো হল, তার কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র।

এদিন তিনি বলেন, “ন্যাক্কারজনকভাবে বিজেপি এই হামলা চালিয়েছে। গণতন্ত্রে যে ওরা বিশ্বাসী নয়, সেটা আবার প্রমাণ হয়ে গেল।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপি ফ্যাসিবাদী দল, সেটা দীলিপবাবুরা আবার বুঝিয়েছেন।” তবে নিজেদের যুব মোর্চার বিক্ষোভকে সমর্থন করতে দেখা গেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।

এদিন তিনি বলেন, “রাফাল ইস্যুতে রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস যেভাবে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা করেছিল, তার প্রতিবাদে আমাদের ছেলেরা যথার্থ কাজই করেছে।” তবে এদিনের গন্ডগোলে পুলিশের উর্দিতে কালি লাগানোর ঘটনার নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সব মিলিয়ে রাফাল রায়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে তা বিধান ভবন পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে সোরগোল তুলল বিজেপির যুব সংগঠন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!