এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাজ্য সরকারকে ধাক্কা দিয়ে আদালতে বড়সড় জয় ছিনিয়ে নিল বঙ্গ বিজেপি, তীব্র অস্বস্তিতে প্রশাসন!

রাজ্য সরকারকে ধাক্কা দিয়ে আদালতে বড়সড় জয় ছিনিয়ে নিল বঙ্গ বিজেপি, তীব্র অস্বস্তিতে প্রশাসন!


রাজ্যে একদিকে করোনার থাবা, অন্যদিকে আমপানের তান্ডব – কার্যত নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। আর এই কঠিন সময়ে অত্যন্ত মানবিক আবেদন রেখেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সকলকেই এই কঠিন সময়ে রাজনীতি অনুরোধ করেছিলেন। অথচ, তাঁর দলের ও প্রশাসনের বিরুদ্ধেই এই সময়ে রাজনীতি করার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছিল।

একদিকে, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তীব্র প্রচার শুরু করেছিলেন – এই কঠিন সময়ে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের, নেতা-কর্মীদের ‘আতস কাঁচ’ দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! তাঁরা নাকি সব ‘ঘরে ঢুকে বসে আছেন’, বাংলাকে একা ‘বুক দিয়ে আগলাচ্ছেন’ তাঁদের প্রিয় নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, কেউ কেউ তো এক ধাপ এগিয়ে এটাও লেখেন – আগামী নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আগে এই কথা যেন সাধারণ মানুষ মাথায় রাখেন!

অথচ, বাস্তবে বিজেপির যে কোন সাংসদ বা নেতা ত্রাণ নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করলেই – হয় তৃণমূল নেতা-কর্মী অথবা পুলিশ-প্রশাসন তাঁদের আটকাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দিলীপ ঘোষ থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিংহ থেকে সব্যসাচী দত্ত, নিশীথ প্রামানিক থেকে সায়ন্তন বসু – প্রত্যেকেই এই ভাবে ‘আটকে’ গিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই পাল্টা ‘রাজনীতি করার’ অভিযোগ এনেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু, তাতেও অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন দেখা যায় নি! আর তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই আদালতের স্মরণাপন্ন হন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। আর সেই শুনানির সময়, রাজ্য সরকারের অস্বস্তি তীব্র বাড়িয়ে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক। কেন ত্রাণ বিলিতে বাধা? বিচারপতির এই প্রশ্নের মুখে রীতিমত থতমত খেয়ে যান রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি। আর তাঁর কাছ থেকে যথাযথ উত্তর না পেয়ে তিনি এই মামলায় বিজেপির পক্ষে বড়সড় নির্দেশ দেন।

বিচারপতি বসাক এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোভিড নির্দেশিকা মেনে ত্রাণ বিলিবন্টন করতে পারবেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার৷ ত্রাণ বিলিবণ্টনে বাধা দেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে করোনা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিলিতে বাধা দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে কলকাতা আদালতে মামলা দায়ের করেন বিজেপি নেতা সুকান্তবাবু। শুধু তাই নয়, তিনি আরও জানান, ত্রাণবিলি করতে গেলে তাঁকে রীতিমত হেনস্থা করছে পুলিশ-প্রশাসন।

আর সেই মামলাতেই সুকান্তবাবু তথা বিজেপিকে বড়সড় স্বস্তি দিয়ে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে বড়সড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। স্বাভাবিকভাবেই এই নির্দেশের ফলে খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে। প্রসঙ্গত, এর আগেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিয়েছিলেন আর তাঁরা ঘরে বসে থাকতে রাজি নন। এবার রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। আর আজকের আদালতের নির্দেশের ফলে দিলীপবাবুদের সেই ইচ্ছা কার্যত সরকারি শিলমোহর পেয়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!