এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী খেলেন বড় ধাক্কা, তীব্র জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী খেলেন বড় ধাক্কা, তীব্র জল্পনা রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর পরিবারের প্রায় সবাই। নন্দীগ্রামের বিধায়ক হিসেবে জয়লাভ করার পর গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে তাঁকে বিরোধী দলনেতা করা হয়েছে। অন্যদিকে বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী এবং সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ত্রিপল চুরির মামলায় অস্বস্তি বেড়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ইতিমধ্যেই অধিকারী ভাইদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের আবেদন জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু শুভেন্দুর আবেদন উল্লেখযোগ্যভাবে খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠে আসছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ত্রিপল চুরির ঘটনা। সূত্রের খবর, কাঁথি পুররসভা থেকে সম্প্রতি ত্রিপল চুরি কান্ডে নাম জড়িয়েছে শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর। এই দুই ভাইয়ের নামে কাঁথি থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে ত্রাণের জন্য রাখা সরকারি ত্রিপল সরিয়ে দেয় শুভেন্দু এবং সৌমেন্দু। পাশাপাশি এই কাজে শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কয়েকজন জওয়ানকেও ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরাকেও ইতিমধ্যেই আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী এবং সৌমেন্দু অধিকারী সহ 4 জনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কাঁথি থানায় পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য রত্নদ্বীপ মান্নার পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি চুরির অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয় তাহলে বিরোধী দলনেতা আক্ষরিক অর্থে বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন বলেই মনে করা হচ্ছে। আর তাই শুভেন্দু এই মুহূর্তে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে। তাড়াতাড়ি এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে তদন্তের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের আবেদন জানান। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই আবেদন অগ্রাহ্য করেছে বলে জানা গিয়েছে।

পাশাপাশি সূত্রের খবর, আগামী 22 শে জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে যদি এই মামলার সত্যতা প্রমাণিত হয় তাহলে বিরোধী দলনেতার পদটি খারিজ হয়ে যাবে। একই সাথে বিজেপি তাঁর এই অপরাধের দায় সাথে নিয়ে তার পাশে দাঁড়াবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ থাকছে। সব মিলিয়ে এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে এই মুহূর্তে মরিয়া শুভেন্দু অধিকারী। আপাতত এই তদন্তের মোড় কোন দিকে যায়, সে দিকেই লক্ষ্য ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!