এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আতঙ্ক আরও তীব্র করে কলকাতাও কেন্দ্রের ঘোষিত রেডজোনের মধ্যে! জানুন বিস্তারিত

করোনা আতঙ্ক আরও তীব্র করে কলকাতাও কেন্দ্রের ঘোষিত রেডজোনের মধ্যে! জানুন বিস্তারিত

ভয়াবহ মারন ভাইরাস করোনা প্রতিমুহূর্তে তিক্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী হচ্ছে দেশবাসীর কাছে। কখন, কিভাবে রূপ বদলে নিয়ে তা মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে, তা কেউ বলতে পারছেন না। প্রথমে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে এই করোনা ভাইরাসের দাপট দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই, ভারতবর্ষে প্রবেশ করলেই তাকে আটকানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে কেন্দ্রীয় সরকার।

অন্যান্য দেশ করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা কিছুটা পরে বুঝলেও, ভারতবর্ষ অন্যান্য দেশের দিকে তাকিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে আগেভাগেই গৃহবন্দী করে দিয়েছে গোটা দেশবাসীকে। বর্তমানে টানা 21 দিন লকডাউন শেষে আবার টানা 19 দিনের লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোনোরূপ প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় এই লকডাউনই একমাত্র সম্বল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও, করোনা ভাইরাসের দাপট কিন্তু কমছে না। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই গোটা ভারতবর্ষজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 11 হাজার 933 জনের। যেখানে মৃত্যু হয়েছে প্রায় 392 জনের। ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক রাজ্য তাদের বিভিন্ন এলাকা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে। মূলত, তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলাকে। যেখানে করোনা হটস্পট জেলা, অন হটস্পট জেলা এবং গ্রীনজোন জেলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

তবে করোনা হটস্পট জোনের মধ্যে কোন কোন রাজ্য রয়েছে? জানা গেছে, দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ এবং ব্যাঙ্গালোরকে এর মধ্যে রেখেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকেও চারটি জায়গা হট স্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর 24 পরগনা রয়েছে বলে খবর। বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গেও যত দিন যাচ্ছে, তত করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মৃত্যুসংখ্যা সাত থাকলেও, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 132 জনের মতো। প্রসঙ্গত, বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিরোধীদের তো বটেই, স্বয়ং কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফেও দাবি করা হচ্ছে বাংলায় করোনায় আক্রান্তের সঠিক খতিয়ান নাকি দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এমনকি, রাজ্য সরকার যাদের প্রথমে করোনার কারণে মৃত বলে ঘোষণা করেছিল, তাদেরকে পরে অন্যান্য কারণে মৃত বলে ঘোষণা করে – যা নিয়ে জল্পঘোলা কম হয় নি।

আর তাই বিতর্ক কমাতে, এখন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের মুখ্যসচিব বাংলার করোনার পরিসংখ্যান দেন সাংবাদিকদের। আর তাতে দেখা যায় অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলার আক্রান্ত বা মৃতের সংখ্যা বেশ কম। ফলে, মনে করা হচ্ছিল বাংলা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশ ভালো জায়গায় রয়েছে। কিন্তু, কেন্দ্র সুস্পষ্ট ভাবে কলকাতার গায়েও রেডজোনের তকমা সেঁটে দেওয়ায়, স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়ল বঙ্গবাসীর। মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্য সরকার বাংলাকে করোনার ফলে কম বিপজ্জনক রাজ্য হিসাবে দাবি করলেও, কেন্দ্র কিন্তু তা একদমই মনে করছে না।

ফলে, আগামীদিনে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মেনে বাংলায় করোনা টেস্ট বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি, লকডাউন নিয়েও কড়াকড়ি অনেকটাই বাড়তে পারে কলকাতায় বলেও মনে করা হচ্ছে। এদিকে দিল্লিতে আটকে থাকা ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকারের পক্ষ থেকে দশ আধিকারিককে নিয়োগ করা হল। তবে টানা 21 দিন লকডাউনের পর আবার টানা 19 দিন লকডাউন ঘোষণা করায় সাধারণ মানুষের রুজি-রুটি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে।

তবে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, 20 তারিখের পর থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপারটি শিথিল করে দেওয়া হবে। আর সেই মতই এদিন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করে জানানো হয়, লকডাউন ছাড় দেওয়া হল কৃষিকাজ, উদ্যানপালন এবং 100 দিনের কাজকে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সমস্ত হোটেল, শপিং মল, সিনেমা আগামী 3 মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দ্বিতীয় দফায় এই লকডাউন করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না‌। কেননা করোনা ভাইরাস এখনও পর্যন্ত শিথিল হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফলে সেদিক থেকে এর কোনো প্রতিষেধক না থাকায় একমাত্র গৃহবন্দী করে সাধারণ মানুষকে সুস্থ রাখার জন্যই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এখন এই লোক ডাউনের মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা ভারতবর্ষে করোনাকে কতটা আটকানো যায়, আগামী 3 মে ভারত বলতে পারে কিনা, তারা করোনা মুক্ত, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!