কলকাতায় একের পর এক হটস্পট! নজরদারিতে আরও কড়া প্রশাসন! নিয়ম ভাঙলেই কঠিনতম শাস্তি? কলকাতা রাজ্য April 24, 2020 ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্তের নিরিখে রেড জোনে পৌঁছে গেছে। যে জেলাগুলি ইতিমধ্যে রেড জোনে রয়েছে, সেগুলিকে হটস্পট করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আর এই হটস্পট এলাকা থেকে যাতে কেউ বের হতে না পারেন, তার জন্য পুরো এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। যদিও কিছু কিছু মানুষ স্বভাবগতভাবেই লকডাউন ভেঙে বাড়ি থেকে বেরোনোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু সেই চেষ্টা যদি ঘুণাক্ষরেও যদি পুলিশের চোখে পড়ে, তাহলে রীতিমত আইনত শাস্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই চিত্র কলকাতার সর্বত্র চোখে পড়ছে। পূর্ব কলকাতার নারকেলডাঙ্গা নর্থ রোড থেকে শুরু করে দক্ষিণ কলকাতার পদ্মপুকুর রোড, গড়িয়া, নয়াবাদ অথবা মধ্য কলকাতার মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট প্রত্যেকটি জায়গাতেই পুলিশের টহলদারি চোখে পড়ার মতো। তবে কোনোভাবেই যাতে কেউ পুলিশের চোখ এড়িয়ে বেরুতে না পারে তার জন্য এবার কলকাতা শহরের হটস্পটগুলিতে নতুন করে সিসিটিভি ক্যামেরা বসার কাজ শুরু হয়েছে। সারা শহরে পুলিশের নজরদারি সাথে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। তার ওপরে আছে আকাশপথে ড্রোনের মাধ্যমে নজর রাখা। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে এলাকাগুলিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে, সেই এলাকাগুলি হটস্পট করে রীতিমতো সিল করে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতা উত্তরের শ্যামপুকুর, বেলগাছিয়া বস্তি থেকে শুরু করে মধ্য কলকাতার জোড়াসাঁকোর মুচিপাড়া, দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর, টালিগঞ্জ, অন্যদিকে আবার পূর্ব কলকাতার তপসিয়া, বেনিয়াপুকুর, নারকেলডাঙ্গা আবার অন্যদিকে পঞ্চসায়রের বিস্তীর্ণ এলাকা, বন্দর এলাকার গার্ডেনরিচ শহরের বহু জায়গা এখন পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণাধীন বলে জানা যাচ্ছে। এই অঞ্চলগুলি এই মুহূর্তে পুরোপুরি ব্লক। কোনরকম বাইরের গাড়ি যাতে এই এলাকাগুলিতে ঢুকতে না পারে সেদিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে। অন্যদিকে এলাকার বাসিন্দারা যাতে কোনরকম প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সমস্যায় না পড়েন বা ওষুধের প্রয়োজন না অনুভব করেন, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বেশকিছু অঞ্চলের মানুষদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দেওয়া হয়েছে এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার যা প্রয়োজন ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মেসেজ করে দিলে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পৌঁছে যাবে বাড়িতে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাতে শহরের প্রত্যেকটি মানুষ লকডাউন মেনে চলেন সেদিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে। এমনকি নারকেলডাঙ্গা মেইন রোড, তপসিয়া, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, মদন মোহন বর্মন স্ট্রিট এর মত রাস্তাগুলোর সঙ্গে যে সব অলিগলি যুক্ত হয়েছে সেগুলিকেও সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এবার অতিরিক্ত নজরদারি করার জন্য বসানো হচ্ছে এইসব এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা। সূত্রের খবর, লালবাজার এর পক্ষ থেকে প্রত্যেক ডিভিশনের ডিসিকে জানানো হয়েছে এলাকার থানার ওসিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে নিতে। জানা গেছে, যেসব জায়গা সিল করা হয়েছে, সেগুলির মুখে সিসিটিভি ক্যামেরা তো থাকছেই। তার সঙ্গে যেসব অপরিসর রাস্তা বা গলির মুখ রয়েছে, সেগুলির মুখেও একটা করে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। মধ্য কলকাতার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, জোড়াসাঁকোর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এর সাথে বড় বাজার এবং পোস্তা অঞ্চলেও চলছে ক্যামেরা বসানোর কাজ। জানা গেছে, পরবর্তীতে বউবাজার এবং মুচিপাড়া অঞ্চলেও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর ফলে এবার থেকে আধিকারিকরা থানায় বসেও নজরদারি চালাতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রয়োজনে মোবাইলের মাধ্যমেও নজর রাখা যাবে বলে জানা গেছে। এবং যে এলাকায় যে ব্যক্তি লকডাউন এর নিয়ম বিধি ভেঙে রাস্তায় বের হবেন, তাকে তক্ষুণি আইন ভঙ্গকারী হিসেবে ধরে নিয়ে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে কড়া নির্দেশ সারা শহর জুড়ে। অন্যদিকে পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, লকডাউন উঠে যাবার পরেও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো থাকবে এই এলাকাগুলিতে। ফলে পরবর্তীতে বিভিন্ন অপরাধ ঘটলে পুলিশের হাতে খুব সহজেই তার তথ্য আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি যেভাবে গার্ডেনরিচ এবং হাওড়ায় পুলিশকর্মীরাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাতে বিশেষজ্ঞদের মতে এভাবে প্রত্যেকটি অঞ্চলে সিসিটিভি লাগানোর ফলে পুলিশকর্মীদের আর বাইরে বেরিয়ে নজরদারি করতে হবেনা। থানায় বসেই আইন ভঙ্গকারীদের ওপর কড়া নজর রাখা যাবে। আপাতত আইন রক্ষকদের একটাই লক্ষ্য, লকডাউন যাতে প্রত্যেকে একইভাবে মেনে চলে। আপনার মতামত জানান -