হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে সংক্রমণ! কলকাতার ঘুম ওড়াতে পারে এই “পড়শি” পুরসভা! আশঙ্কা প্রশাসনের অন্দরেই কলকাতা রাজ্য May 18, 2020 যত দিন যাচ্ছে, তত করোনা ভয়াবহতায় চিন্তা বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের। ইতিমধ্যেই কলকাতাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।দিনকে দিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কিছু রোগী সুস্থ হলেও, এই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাপক আশঙ্কা কাজ করছে। তবে পেশাগত কারণেই কলকাতার রেড জোনের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে দক্ষিণ শহরতলির পুর নাগরিকরা। যার ফলে কলকাতার পাশেই রাজপুর- সোনারপুর পৌরসভা এলাকায় ব্যাপক করোনা সংক্রমণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে এই পৌরসভায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় 16 জন মানুষ। মোট 35 টি ওয়ার্ডের মধ্যে 15 টি ওয়ার্ড সিল করে দেওয়ায় আরও চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, ওই এলাকাতেই রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তার বাড়ি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন পেশার কারণে এই রাজপুর-সোনারপু্র পৌরসভার সঙ্গে কলকাতা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা সংযুক্ত রয়েছে। তাই এমতাবস্থায় রাজপুর- সোনারপুর পৌরসভায় সিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবথেকে আতঙ্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় কুমার চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে থাকা এক আক্রান্ত। এদিন এই প্রসঙ্গে পৌরসভার এক কর্তা বলেন, “কলকাতা যোগে একের পর এক সংক্রমন হচ্ছে। গত শুক্রবার কামালগাছি এলাকায় এক মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি যে আবাসনে থাকেন, পুরসভার তরফে সেটি জীবানুমুক্ত করা হয়েছে।” কিন্তু এতে কি বিড়ম্বনা বাড়বে না? এভাবে যদি চলতে থাকে, তবে তো কলকাতার সংক্রমণ ধীরে ধীরে এই পৌরসভাতেও চলে আসবে! এদিন এই প্রসঙ্গে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পল্লবকান্তি দাস বলেন, “আক্রান্তদের থেকে সংক্রমণ যাতে এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ওই ওয়ার্ডগুলোতে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। কলকাতা এখন পুরোটাই রেড জোন। তাই পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে কলকাতা থেকে এই পুর এলাকায় যাতে সহজেই কেউ ঢুকে পড়তে না পারে, সেদিকে নজড় দেওয়া হচ্ছে।” তবে করোনা একবার সংক্রমিত হতে শুরু করলে, তাকে কি আদৌ আটকানো সম্ভব হবে! এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র। আপনার মতামত জানান -