“কলকাতার মানুষ দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি বিদ্যুতের বিল দেন। এর পিছনে রয়েছে অন্তত ১০,০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি।” – বিস্ফোরক কৈলাস জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য April 16, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নববর্ষের দিনেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে আবারও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, কলকাতার মানুষেরা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের বিল দিয়ে থাকেন। আর এর পেছনে রয়েছে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি। আর এই বিদ্যুত বিলের একটা অংশ ঘুরপথে চলে যায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রতি বিল থেকে ১০% হারে অর্থ নিয়ে থাকেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে,সিইএসসির বেশকিছু আধিকারিক এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেছেন। প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধ্যায় ভবানীপুরে বিজেপির এক দলীয় সভায় যোগদান করেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এই সভা থেকে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, কলকাতার মানুষেরা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের বিল দিয়ে থাকেন। আর এর পেছনে রয়েছে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিদ্যুৎ সংস্থার সঙ্গে যোগসাজশ করে বিপুল অর্থ চলে যাচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁর অভিযোগ, কলকাতার মানুষ যদি ২৫০০ টাকা বিদ্যুতের বিল দেন, তবে তার থেকে ৫০০ টাকা পান ভাইপো। সমস্ত কলকাতাবাসীর থেকে মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আদায় করেন তিনি। এভাবে ৩০০ কোটি টাকা মাসে আদায় করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কৈলাস বিজয়বর্গীয় আরও জানিয়েছেন যে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিদ্যুৎ বিলের দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করা হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গে যদি বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে, তবে মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি জানাবেন যে, অন্যান্য কাজ পরে করতে, আগে একটা ভালো করে জেল বানাতে। আবার, গতকালের সভা থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন যে, বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে, তবে পশ্চিমবঙ্গে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে। তবে, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন সিইএসসির বেশ কিছু আধিকারিক। তাঁরা জানিয়েছেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারণ, বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা সরাসরি অনলাইনে সিইএসসির একাউন্টে তাদের অর্থ জমা দেন, নতুবা তাঁরা সিইএসসির কার্যালয়ে গিয়ে নগদ অর্থ জমা দেন। সেখান থেকে অন্য কারোর কাছে এই অর্থ যাবার কোন সম্ভাবনা নেই। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে, ও সিইএসসিকে হীন প্রতিপন্ন করতেই এই অভিযোগ করা হয়েছে। তবে, সিইএসসির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন বক্তব্য রাখা হয় নি। আবার, বিদ্যুতের বিল নিয়ে সিইএসসির বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছিল বিরোধীদের পক্ষ থেকে। বিশেষত, আমফানের সময় বিদ্যুতের বিল নিয়ে সিইএসসির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল একাধিক বিরোধী শিবির। আপনার মতামত জানান -