কলকাতাতে আতঙ্কের থাবা আরও জোড়ালো! করোনা সন্দেহে বেলেঘাটাতে ভর্তি আরও ৩! কলকাতা রাজ্য March 24, 2020 24 ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত দ্বিগুণ হল। শহরে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত যে সংখ্যাটা ছিল দুই রবিবার সন্ধ্যায় সেটা গিয়ে দাঁড়াল সাতে। অর্থাৎ এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতে। সারা বিশ্বের সাথে এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গেও করোনা পাল্লা দিয়ে সংক্রমিত হওয়া শুরু হয়েছে। এই সংক্রমণ আটকানোর জন্য ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে গেছে লকডাউন পরিস্থিতি। বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক করোনা আক্রান্তের খবর মেলায় মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে আতঙ্ক। সূত্রের খবর, সোমবার সকালেও করোনা আক্রান্তের খবর পেয়ে বেলেঘাটা আইডিতে তিনজনকে ভর্তি করানো হয়েছে। জানা গেছে, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। জানা গেছে, শ্রমিকের কাজ করেন তিনি। অন্যজন নাগেরবাজার এর বাসিন্দা এক বৃদ্ধ আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ই এম বাইপাস সংলগ্ন রুচিরা আবাসনের বিদেশ ফেরত বাসিন্দাকেও বেলেঘাটা আইডিতে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া এদিন সকালে ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ড থেকে এক যুবককে শরীরে টেম্পারেচার অবস্থায় উদ্ধার করে বেলেঘাটা আইডিতে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - করোনাকে ঠেকাতে গত রবিবার সারা দেশজুড়ে পালন হয়েছিল জনতা কার্ফু। আর এদিনেই কলকাতায় আরো তিনজন নতুন করে আক্রান্ত হলেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে। যার ফলে কলকাতা শহরে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 7। জানা গেছে, বালিগঞ্জের তিন জনের দেহে করোনা ভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। অন্যদিকে পন্ডিতিয়া রোডে আরও একটি পরিবারের তিনজনের দেহে পাওয়া গেছে করোনা ভাইরাসের জীবাণু। এই মুহুর্তে সারাদেশে প্রতিদিনই প্রায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই মুহূর্তে সারাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় 415 জন। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের সমস্ত রেঁস্তোরা, পাব, নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, মেসেজ পার্লার, বিভিন্ন বিনোদন পার্ক ইত্যাদি সমস্ত কিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাস ঠেকাতে ইতিমধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় সোশ্যাল ডিসট্যান্স বজায় রাখার। কিন্তু জনতা কার্ফু পালন করার পর যেভাবে এই নির্দেশ অমান্য করা হলো, তা দেখেই লকডাউন এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত কয়েকদিন পশ্চিমবঙ্গের রাস্তা থাকবে জনমানব শূন্য। অনুরোধ করা হচ্ছে শুধুমাত্র নিজের জন্য নয়, সবার জন্য বাড়িতে থাকতে। মনে করা হচ্ছে, এভাবেই করোনাকে টেক্কা দেওয়া যেতে পারে। আপনার মতামত জানান -