এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কলকাতায় অভিষেক ব্যানার্জির অফিস থেকে এল জরুরি তলব! জল্পনা উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতাদের মধ্যে

কলকাতায় অভিষেক ব্যানার্জির অফিস থেকে এল জরুরি তলব! জল্পনা উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতাদের মধ্যে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে আরও ঐক্যবদ্ধ করতে ক্রমাগত বার্তা দিয়ে চলেছে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। কিন্তু শাসকদলের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিকে সবথেকে বড় বাধা দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিচ্ছে। তবে দলীয় নেতৃত্ব কড়া হাতে সংগঠনের পরিস্হিতি সামাল দেওয়ার পথে। আর তার মধ্যেই শোনা যাচ্ছে, এবার কলকাতায় দলীয় নেতৃত্বের ডাক পড়েছে জলপাইগুড়ির জেলা তৃণমূল নেতাদের।

আগামী শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে ডাক পড়েছে নেতাদের। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই বৈঠকে তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকতে পারেন। মনে করা হচ্ছে, জলপাইগুড়ির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে জেলা কমিটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েও আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে। জলপাইগুড়ি জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। তবে জানা গেছে, বুধবার তৃণমূলের কৃষক সংগঠনের কেন্দ্র বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিতে জলপাইগুড়ি জেলার সব নেতাদেরই সামিল হতে দেখা গিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলার কিসান ক্ষেত মজদুরের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, “সর্বস্তরের নেতারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। জেলার প্রতিটা ব্লকে কর্মসূচি হয়েছে।” জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী সহ প্রায় সমস্ত নেতাই। বিরোধিতা থাকলেও দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করেনি কেউ। প্রয়েকেই আলাদা আলাদাভাবে দলীয় নির্দেশ পালন করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আগামী শুক্রবার কলকাতার বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্ব জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্বকে কি বার্তা দেন, সেদিকেই এখন নজর সবার। গোষ্ঠীদ্বন্দ নিয়ে আলোচনা বা জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। এখনও পর্যন্ত বারংবার উত্তরবঙ্গের দলের সমস্ত গোষ্ঠীকে সংযত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দলীয় রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু তাতে যে বিশেষ কাজ হয়নি তা স্পষ্ট। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির বিভিন্ন সাংগঠনিক দায়িত্বও বদল হতে পারে বলে জানা গেছে।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে এবার তৃণমূল নেতৃত্ব কড়া হাতে জেলা সংগঠনগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গ বর্তমানে মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের। বিশেষজ্ঞদের মতে জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সহ বিভিন্ন সমস্যা যদি এখনই না মেটায় তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব, তাহলে অবধারিতভাবে আগামীদিনে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে দল। তাই রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত, আগামী শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে প্রথম পর্বে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!