এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কলকাতায় আসার আগে বাংলার মন জয়ের চেষ্টায় প্রধানমন্ত্রীর এবার বাংলায় টুইট

কলকাতায় আসার আগে বাংলার মন জয়ের চেষ্টায় প্রধানমন্ত্রীর এবার বাংলায় টুইট

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রত্যেকবারই পশ্চিমবঙ্গের আসার আগে বাংলায় একটি টুইট করে বার্তা দেন। এর আগেও লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর প্রথম সভা করতে আসার আগে বাংলার মানুষকে বাংলা ভাষায় বার্তা দেন তিনি। এবারও তার অন্যথা হলো না। এই মুহূর্তে নাগরিকত্ব আইন লাগু নিয়ে চূড়ান্ত বিক্ষোভ শুরু হয়েছে সারা দেশজুড়ে। পশ্চিমবঙ্গও বাদ যায়নি এ ক্ষেত্রে। কিন্তু তারপরেও সিএএ আইন ধার্য হয়েছে দেশে গতকাল। এরইমধ্যে এবার পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আজ পা দিচ্ছেন অনেক আশা নিয়ে।

এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় একটি টুইট করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের যেখানে নাগরিকত্ব আইন এর বিরুদ্ধে জোর বিক্ষোভ চলছে, ঠিক সেইসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলার মানুষকে একটি টুইট করে বললেন যে, তাঁর হৃদয় পশ্চিমবঙ্গ টানছে। তিনি টুইটারের মাধ্যমে জানিয়েছেন, “আজ ও আগামী কালের পশ্চিমবঙ্গ সফরের জন্য আমি গভীর অপেক্ষায় অপেক্ষারত।” উল্লেখ্য আগেই জানা গেছে, আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সফর শেষে দিল্লি ফিরবেন বলে জানা গেছে। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী কলকাতা বন্দরের দেড়শ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মিলেনিয়াম পার্ক এর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আমন্ত্রণ পেয়েছেন উপস্থিত হওয়ার জন্য। সেখান থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেলুড় মঠ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জলপথে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে আগমন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক ঘিরে ইতিমধ্যেই তুমুল জল্পনা চলছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যে প্রায় সমস্ত দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে রাজ্য কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতৃত্বও। তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে প্রতিবাদ এতদিন আমরা দেখেছি, তার সমস্তটাই ফাঁকা আওয়াজ এ ভরপুর। অর্থাৎ পুরোটাই জনতা ভোলানো।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর মোদির রাজ্য সফর ঘিরে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে এরাজ্যে। বিরোধীদল এবং কিছু নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হবে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, এবার সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের প্রকাশ হচ্ছে। ইতিমধ্যে, বাংলা পক্ষের তরফ থেকে বলা হয়েছে ফেসবুকে মোদি বিরোধী পোস্ট করে রাত্রি দশটা থেকে 10:10 পর্যন্ত অর্থাৎ 10 মিনিট ঘরের আলো নিভিয়ে ‘কালো রাত’ পালনের।

নাগরিকপঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে দেশ তোলপাড় হলেও ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সারাদেশে এই আইন লাগু করা হয়েছে। আর এর পরেই যে বিক্ষোভ চলছিল, নাগরিকত্ব আইন এর প্রতিবাদে- তা দ্বিগুণ আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, নাগরিক পঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে যেভাবে সারাদেশ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, রাজনৈতিক দল থেকে সাধারণ মানুষ- তাতে প্রমাদ গোনে ছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই আগেভাগেই সিএএ আইনটি তাঁরা কার্যকর করল। আপাতত রাজনৈতিক মোড় কোন দিকে যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!