এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কলকাতায় চালু হচ্ছে মেট্রো পরিষেবা! মেট্রোর ‘টাইমিং’ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের, জানুন

কলকাতায় চালু হচ্ছে মেট্রো পরিষেবা! মেট্রোর ‘টাইমিং’ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের, জানুন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মেট্রো পরিষেবা কবে থেকে শুরু হবে সেই নিয়ে হত্যে দিয়ে ছিল মানুষ। মেট্রো পরিষেবা চালু করতে অন্যদিকে অনেকদিন আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল নানা রকমের খবর। তবে সে ক্ষেত্রে কতটা করোনা সতর্কতা মানা যাবে, কোন ট্রেনে কতজন যাত্রী উঠবে, কিভাবে সেই সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেই সমস্ত ব্যবস্থা ঠিকমতো পালনের জন্য তত্ত্বাবধানে থাকাকারী অফিসারদের কিভাবে ট্রেনিং দেওয়া হবে, সেই নিয়ে উঠেছিল অনেক প্রশ্ন। তবে শেষমেষ আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বর থেকে নিটের পরীক্ষার্থীদের জন্য মেট্রো পরিষেবা শুরু হলেও তারপরদিন অর্থাৎ ১৪ তারিখ থেকেই জনসাধারণের জন্য এই পরিষেবা চালু করে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তবে সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা ঠিক কিরকম হবে সেটা একটু জেনে নেওয়া যাক।

মেট্রোতে চড়তে গেলে এবার লাগবে ই-পাস। আর এই ই-পাসের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের ১২ঘণ্টা আগে টিকিট বুক করা যাবে। অর্থাৎ যাত্রার আগেরদিন রাত ৮টার পর পরেরদিনের টিকিট কাটা যাবে। সেক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট লিংকের মাধ্যমে প্রতি যাত্রীকে ই-পাস দেওয়া হবে। ওই লিংকে ক্লিক করে যাত্রীকে নিজের নাম, পরিচয়, যাত্রার সময় এবং কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশনে তিনি যেতে চান, তা জানাতে হবে। এরপর সেই ই-পাস পাঠানো হবে সেই যাত্রীর মোবাইলে। যা আদপে একটি QR কোড। ওই কোডের রং দেখেই মেট্রোর প্রবেশপথে থাকা রক্ষীরা বুঝতে পারবেন, সেই যাত্রীর কাছে মেট্রোযাত্রার বৈধ অনুমতি রয়েছে কি না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এখনে বলে রাখা দরকার, ই-পাসের বৈধতা মাপতে একটি বিশেষ নিয়ম নেওয়া হয়েছে। ১২ ঘণ্টার জন্য ১২টি রং ঠিক করা হচ্ছে। নির্ধারিত স্লটের আগে একটি বিশেষ রংয়ের কথা গেটে থাকা রক্ষীদের জানিয়ে দেওয়া হবে। সুতরাং সেই সময় শুধু সেই রঙের কোড ব্যবহারকারীদেরই মেট্রোতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে টিকিট কাটার সময় আপনাকে আগে থেকেই নির্ধারণ করে নিতে হবে যে কোন সময় থেকে কোন সময়ের মধ্যে আপনি যেতে চান। কোনোভাবে সেই সময় একটি পেরিয়ে গেলে আপনার কিউআর কোডটি ইনভ্যালিড হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আপনার মেট্রো পরিষেবায় বিঘ্ন দেখা দেবে। সুতরাং প্রত্যেক যাত্রীকে একটা নির্দিষ্ট করোনা সতর্কতার সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট নিয়ম মাফিক যাতায়াতের সময়ও নির্ধারণ করতে হবে।

এতো গেলো টিকিটের কথা। এবার আসা যাক মেট্রো চলার সময় নিয়ে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের মতে করোনা পরিস্থিতিতে যাত্রী সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ার কথা। তাই এই অবস্থায় খুব বেশি মেট্রো চালাতে রাজি নয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাই ব্যস্ত সময়ে ১০ মিনিট অন্তর আর বাকি সময় ১৫ মিনিট অন্তর মেট্রো চলবে বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১.৩০ পর্যন্ত এবং বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত আপ এবং ডাউনলাইনে মেট্রো চলবে ১০ মিনিট অন্তর। কারণ এই সময়টায় সাধারণত একটু ভিড় থাকে। আর দিনের বাকি সময় মানে সকাল ৮ টা থেকে ৯টা, সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ৪টে এবং ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ১৫ মিনিট অন্তর মেট্রো চলবে বলে জানা গেছে।

এখানে অনেক যাত্রীই প্রশ্ন তোলেন যে, এখন যেহেতু মেট্রোতে আগের মত যাত্রী উঠতে পারবে না, সেক্ষেত্রে মেট্রো সংখ্যা বাড়ালে যাত্রীদের যেতে আসতে একটু সুবিধে হত। এমনিতেই বসার সিট পাওয়া নিয়ে সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে মেট্রো কর্তৃপক্ষের সাফ জবাব, এমনিতেই সাধারণ সময় মেট্রোতে ঠাসা যাত্রী থাকাকালীন ১০০ টাকা আয় করতে মেট্রোর খরচ হয় ২৫০ টাকার বেশি। সেক্ষেত্রে এখন করোনা পরিস্থিতিতে ৪৫০ জনের বেশি যাত্রী নেওয়াই যাবে না। তাই পুরোটাই লোকসানের খাতায়। তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে কর্মী সমস্যাও থেকে গেছে। তাই আপাতত যতটা কম সম্ভব ট্রেন চালাতে চাইছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পরে যদি যাত্রী বাড়ে সেই বুঝে ধীরে ধীরে মেট্রোও বাড়বে বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!