এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > কোন অঙ্কে বাংলায় বাজিমাত? ঠিক করে ফেলল গেরুয়া শিবির? সঙ্ঘের হাত ধরে এবার পালা শুধু জয়ের?

কোন অঙ্কে বাংলায় বাজিমাত? ঠিক করে ফেলল গেরুয়া শিবির? সঙ্ঘের হাত ধরে এবার পালা শুধু জয়ের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 যত কাছে আসছে, ততই বাংলার রাজনৈতিক মহল আন্দোলিত হচ্ছে। প্রত্যেকেরই লক্ষ্য একুশের বিধানসভার মসনদ দখল। এই পরিস্থিতিতে আবারও কি একবার বাংলার রাজনীতিতে পরিবর্তনের হাওয়া বইবে? বাংলার বুকে কি এবার উড়তে চলেছে গেরুয়া নিশান? চলছে জোর তর্ক-বিতর্ক এই নিয়ে। অন্যদিকে একদিকে যেমন গেরুয়া শিবির আসরে নেমেছে বাংলার রাজনৈতিক জমি দখল করতে, অন্যদিকে তৃণমূলও পিছিয়ে নেই। তাঁরাও তাঁদের অধিকার বজায় রাখতে রীতিমতো তৎপর।

এই অবস্থায় তৃণমূলের দিকে কিন্তু পাল্লা ভারী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক মহলে একটি হেভিওয়েট নাম। আর সেই নামকে হারাতে গেলে বিজেপি এবার কোন রাস্তা ধরে, সে দিকেই নজর রাখব আমরা। মনে করা হচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের ধাঁচেই বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে বর্ণবাদী রাজনীতির তাস খেলতে চলেছে। এতদিন পর্যন্ত বর্ণবাদী কোন রাজনীতি বাংলায় হয়নি। কিন্তু বিজেপি জেতার জন্য এই রাস্তাই অবলম্বন করছে।

বিজেপির অংক অনুযায়ী বাংলায় ব্রাহ্মণ, বৈদ্য এবং কায়স্হ এই তিন উচ্চবর্ণ বেশিরভাগ বড় শহরগুলিতে আধিপত্য বিস্তার করেছে। কিন্তু ভোটবাক্সে দেখা যাচ্ছে তাঁদের পরিমাণ হিন্দু জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র 15 থেকে 18%। অর্থাৎ বাংলার মোট ভোটারদের 12 থেকে 13%। অন্যদিকে দেখা গেছে, বাংলার রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সাধারণত এই উচ্চবর্ণেরী রমরমা। আর এই ব্যাপারটিকেই ইস্যু করতে চলেছে গেরুয়া শিবির এবারের বিধানসভা নির্বাচনে।

ইতিমধ্যে আরএসএস এবং বিজেপির একযোগে অনগ্রসর জাতির মধ্যে উচ্চবর্ণের বঞ্চনার ব্যাপারটি প্রচার হিসেবে চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। নিম্নবর্ণের মধ্যে ওবিসি সম্প্রদায় বাংলায় হিন্দুদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ। ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণ রয়েছে 17%। যার মধ্যে কয়েকটি মুসলিম সম্প্রদায়ও আছে বলে জানা গেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিজে উঠে এসেছেন ওবিসি থেকেই এবং গ্রামবাংলায় তাঁকেই মুখ করে প্রচার চালানো হচ্ছে। বাংলায় তপশিলি জাতিদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জনসংখ্যার 23% অর্থাৎ হিন্দুদের মধ্যে প্রায় 30% এসসি এবং 5.5% তপশিলি উপজাতি এসটি। এসসির মধ্যে আবার সবথেকে বড় এবং প্রভাবশালী গোষ্ঠী হল মতুয়া। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একসময়ের বামফ্রন্টকেও বাংলা থেকে সরাতে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের ভোট পাওয়ার জন্য একইভাবে রাজনীতি চালান। অন্যদিকে বিগত কয়েক বছর ধরে মতুয়াদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করেছে বিজেপি। আর তার ফল পাওয়া গেছে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে।

মনে করা হচ্ছে, সিএএ কিংবা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সুফল প্রচার করে বিজেপি মতুয়াদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করেছে। তবে বাংলায় 294 টি আসনের মধ্যে 70 থেকে 75 টি আসনের মধ্যে বিজেপি কিন্তু উচ্চবর্ণের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে পারবে না। আর এই প্রতিবন্ধকতার জন্যই বাংলা এখনও গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ নির্বাচন হয়নি। সুতরাং মনে করা হচ্ছে, বাংলায় পিছিয়ে পড়া বর্ণ এবং মুসলমানদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করার একনিষ্ঠ চেষ্টা চালাবে বিজেপি।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলায় কোনদিনই মেরুকরণের রাজনীতি চলেনি। না ধর্মীয় মেরুকরণ, না বর্ণ মেরুকরণ। সে ক্ষেত্রে বিজেপি এই ভাগাভাগির তাস খেলতে চাইলেও তা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে কিন্তু সন্দেহ দেখা যাচ্ছে। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি একইভাবে লোকসভা নির্বাচনে কিন্তু ম্যাজিক দেখিয়েছে বাংলার বুকে। তাই সেই আত্মবিশ্বাস এর উপর ভর করেই আগামীদিনের বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে গেরুয়া শিবির তাঁদের পুরনো ছকেই খেলবে বাংলায় বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত বাংলার রাজনৈতিক লড়াই যে জমজমাট বাংলার বুকে, তা নিয়ে নিশ্চিত সবাই।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!