এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কোন্দলকে দূরে সরিয়ে এবার নয়া পদক্ষেপ তৃণমূলের, কাজ হবে কি ? উঠছে প্রশ্ন

কোন্দলকে দূরে সরিয়ে এবার নয়া পদক্ষেপ তৃণমূলের, কাজ হবে কি ? উঠছে প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  জেলা কমিটি গঠনের পর থেকেই কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের অন্দরমহলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কিন্তু সেই কোন্দলের মাঝেও এবার কোচবিহার জেলার সংগঠনকে চাঙ্গা করতে উদ্যোগী হল তৃণমূল নেতৃত্ব। যেখানে পূর্ণাঙ্গ ব্লক কমিটি এবং অঞ্চল কমিটি গঠনের কাজ শুরু করে দেওয়া হল। জানা গেছে, শারদোৎসব মিটে যাওয়ার সাথে সাথেই এই কোচবিহার জেলার যে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে এখনও পর্যন্ত কর্মীসভা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি, সেখানে কর্মীসভা করা হবে।

আর তারপরেই ব্লকে ব্লকে জনসভা করে ব্লক কমিটি গঠন এবং অঞ্চল কমিটি গঠন করা হবে। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ করা হবে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে। অর্থাৎ দলের গোষ্ঠী কোন্দলের মধ্যেও কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য পেতে এখন সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য উদ্যত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোচবিহার জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। আর এরপরই সেই দ্বন্দ্ব বন্ধ করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণবর্মনের বাড়িতে জেলা সভাপতি, বিধায়ক সহ বেশ কয়েকজন পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক হয়। আর সেখানেই একে অপরের মত জানালেও দ্রুত যাতে ব্লক এবং অঞ্চল কমিটি গঠন করা হয়, তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্লক এবং অঞ্চলের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে দ্বন্দ্বের মাঝেও এখন সেই কমিটি গঠনের দিকে নজর দিতে উদ্যোগী হয়েছে তারা। বস্তুত, এই জেলা কমিটি গঠন হওয়ার পরেই প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। স্বাভাবিকভাবেই দলের এহেন হেভিওয়েট বিধায়কের হুংকার ছাড়ার পরও অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তারপরেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে গোষ্ঠী কোন্দল না হয়, তার জন্য জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের বাড়িতে ডাকা হয়েছিল বৈঠক। যে বৈঠকে কিছুটা হলেও বাকবিতণ্ডা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু এখন সমস্যার সমাধান করে অঞ্চল এবং ব্লক স্তরের কমিটি গঠনের জন্য সবথেকে বেশি মনোযোগী হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “পুজোর পর থেকে যেসব বিধানসভা এলাকায় কর্মীসভা বাকি রয়েছে, সেগুলো করা হবে। প্রতিটি ব্লকে জনসভা করা হবে। এরমধ্যে বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিরা নিজের আলোচনা করে প্রস্তাবিত ব্লক কমিটি আমাদের কাছে পাঠাবেন। তারপর সেটা চূড়ান্ত করা হবে। জেলার তিনটি ব্লকে পূর্ণাঙ্গ ব্লক কমিটি ও অঞ্চল পদাধিকারীদের নাম ঠিক করেছে। আমরা তা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠাচ্ছি। রাজ্য অনুমোদন দিলে আমরা তা প্রকাশ করব। বাকি বিধানসভা কেন্দ্রগুলোতেও এই কাজ হবে। আগামী 5 নভেম্বর দলীয় বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে এসব কর্মসূচির নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করা হবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেনতেন প্রকারেণ এখন কোচবিহার জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করা সব থেকে বড় টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। তাই কোন্দলকে কিছুটা দূরে রেখে এখন অঞ্চল এবং ব্লক কমিটি গঠনে সবথেকে বেশি প্রাধান্য দিতে দেখা যাচ্ছে জেলা নেতৃত্বকে। সব মিলিয়ে এবার অঞ্চল এবং ব্লক কমিটি গঠনে তৃণমূল নেতৃত্ব জোর দিলেও সেখানেও যদি দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে, তাহলে কিভাবে শাসকদল গোটা ব্যাপারটি মোকাবিলা করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!