এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ‘কন্যাদায়গ্রস্ত’ পিতা হয়েও নির্বাচনকেই অগ্রাধিকার! চমকে দিলেন বাংলার এই বিজেপি প্রার্থী

‘কন্যাদায়গ্রস্ত’ পিতা হয়েও নির্বাচনকেই অগ্রাধিকার! চমকে দিলেন বাংলার এই বিজেপি প্রার্থী


নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী 25 নভেম্বর খড়গপুর, করিমপুর এর পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জেও উপ নির্বাচনের দামামা বেজেছে। কালিয়াগঞ্জে উপনির্বাচনে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছেন কমল সরকার। যথারীতি কালিয়াগঞ্জে বিজেপি কোমর বেঁধে নেমেছে নির্বাচনী প্রচারে। কমল সরকার নিজেই নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করছেন। উপ নির্বাচনের প্রচার শেষ হচ্ছে 23 শে নভেম্বর। আর সেদিনই বিজেপি প্রার্থী কমল সরকারের মেয়ের বিয়ে। একদিকে মেয়ের বিয়ে, অন্যদিকে রাজনৈতিক দলের প্রচার। অবশ্যই বেছে নিয়েছেন বিজেপির প্রার্থী রাজনৈতিক দলকে যা অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কাছে উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

মেয়ের বিয়ে নিয়ে হাজার চাপ থাকা সত্ত্বেও কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রার্থী বেছে নিয়েছেন দলের দায়িত্বভারকে। দুই দায়িত্ব সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তবে মেয়ের বিয়ের জোগাড়ে প্রত্যক্ষভাবে না থাকলেও সাহায্যে পাশে পেয়েছেন আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীকে। যে কারণে কমলবাবু উপনির্বাচনের প্রচারে সমস্ত মনোনিবেশ করতে পারছেন। এই মুহূর্তে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী কমল সরকারের হাতে উপ নির্বাচনের দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে ন‍্যস্ত। নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন 23 শে নভেম্বর আর তাই সব কিছু ভূলে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলি। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে তাঁরা ভোটের প্রচারে ছুটে বেড়াচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী কমল সরকারের ঘাড়ে শুধুমাত্র উপনির্বাচনের দায়িত্ব নয়, তার ঘাড়ে আছে তার কন্যা বিবাহের দায়িত্বটিও। যদিও কন্যা বিবাহের দায়িত্বটি তাঁর আত্মীয়স্বজন ও পাড়াপড়শিরা মিলে ভাগ করে নিয়েছেন। কমল সরকার এদিন জানিয়েছে উপনির্বাচনে দিকটি গুরুত্ব দিয়ে কমল সরকার সেদিকেই সময় দিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে কমলবাবু জানিয়েছেন, ‘বাবা হিসেবে মেয়ের বিয়ে দেওয়া তার দেখভাল করা আমার কর্তব্য। কিন্তু দল যে দায়িত্বটা আমাকে দিয়েছে সেটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ হয়ে জন্মেছি, শুধু নিজের জন্য নয় সমাজের জন্য। সে কারণে দলের জন্য কাজ করাটাকেই বেশি গুরুত্ব দিতে চান তিনি।

লোকসভা নির্বাচনের পর উপনির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ফলাফল তৈরি করতে গেলে নির্বাচনী প্রচারে জোর দিতে হবে সে কথা সকলেরই জানা। আর তাই এবার নির্বাচনী প্রচারের জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে বিজেপি। অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলের দাবি, আগামী দিনে এই উপনির্বাচনকে ঘিরে যে নির্বাচনী যুদ্ধ হতে চলেছে, তাতে একটা কথা স্পষ্ট উপ-নির্বাচনের ফল যদি পজিটিভ হয়, তাহলে জয়ী দল 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেশ কিছুটা আত্মবিশ্বাস অর্জন করবে। আপাতত এই নির্বাচন জেতার চেষ্টায় কে কতটা কার্যকর হতে পারে, সেদিকে নজর রাখছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!