প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কোনো কাজ করতে গিয়ে বা পড়তে বসে কপালে ভাঁজ পড়লে বড়রা হামেশাই বলেন, কপালে ভাঁজ কিসের? বা এত কিসের চিন্তা? কপালে ভাঁজ পড়া নাকি মোটেই ভালো নয়। তবে আপনি কি জানেন, আপনার কপালের এই ভাঁজ দেখে বলে দেওয়া যায় অনেককিছুই।

কপালের আকৃতি বা ভাঁজ দেখে মানুষের প্রকৃতি বোঝার এই প্রক্রিয়াকে ‘মেটোপস্কপি’ বলা হয়। ১৯০১ সালে ইতালিতে জন্মগ্রহণকারী আর পন্ডিত এবং চিকিৎসক কর্দনো, তাঁর লেখা বইতে কপালের ভাঁজের মহিমা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে আমাদের ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রেও এই বিদ্যা রয়েছে এবং তার মাধ্যেমে আপনি জেনে নিতে পারেন আপনার সম্ভাব্য ভবিষ্যত।

কপালে যদি ৫,৬,৭ টি রেখা থাকে তাহলে ওই ব্যক্তির ৫০ বছর আয়ু হয়। কপালে যদি দুটি বড় রেখা থাকে তাহলে ৭০ বছর, তিনটি বড় রেখা থাকলে ৬০ বৎসর আয়ু হয়। এছাড়া কপালে যদি একটি রেখা থাকে তবে ২০ বছরও তিনটি রেখা থাকলে ৪০ বছর আয়ু হয়। একটিও রেখা যদি না থাকে তাহলেও জাতক বা জাতিকার ৪০ বছর আয়ু হয় বলে মনে করা হয়।

কপালের মাঝখান থেকে দুটি, অথবা কপালের পাশে যদি আগাগোড়া দুটি লম্বা রেখা থাকে তাহলে ১ বছর আয়ু হয়। কপালের রেখা যদি উপরে মাথার চুল পর্যন্ত স্পর্শ করে তাহলে জাতক বা জাতিকার ৮০ বছর আয়ু হয়। কপালে যদি ছিন্নভিন্ন টুকরো রেখা থাকে তবে জাতক বা জাতিকার অপমৃত্যু হয় বলে মনে করা হয়।

কোনো ব্যক্তির কপালের ঠিক মাঝখানে তিনটি বা চারটি অভগ্ন রেখা থাকলে সে রাজা বা রাজতুল্য হয়। আবার কোনও রেখা যদি ঝিনুকের মতো হয়, তবে সেই ব্যক্তি ভাল অধ্যাপক হয়।আবার জাতক জাতিকার কপালের মাঝখানের বৃত্তাকার কোনও রেখা ধন নাশের নির্দেশ করে।

জাতক বা জাতিকার কপালে ত্রিশূলাকার চিহ্ন থাকলে সেই ব্যক্তি ধনী হয় ও ১০০ বছর আয়ু হয় বলে মনে করা হয়। এছাড়া ধনুক চিহ্ন থাকলে ভাল প্রেমিক হয় বা কপাল অর্ধচন্দ্রাকার অথবা লোম বিহীন হলে সে রাজার মতো জীবন কাটায় বলেই জানা যায়।

সঙ্গে কপালে রবি থেকে থেকে চন্দ্র পর্যন্ত দুটি ভ্রুর উপরে টানা অর্ধচন্দ্র ধরণের রেখা থাকলে তা জাতক জাতিকাদের অতি সৌভাগ্যের নির্দেশ করে। যে ব্যক্তির কপাল উন্নত শঙ্খাকৃতি অর্ধচন্দ্রাকার হয় সেই ব্যক্তি ধনী হয়। আবার যে ব্যক্তির কপালে অনেক শিরা থাকে সে নানা পাপকার্য করে থাকে বলেই অনুমান করা হয়।