এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ থাকলেও পিছিয়ে তৃনমূল, ভোটের প্রাক মূহুর্তে সভা-সমিতির অভাব, উঠছে প্রশ্ন!

কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ থাকলেও পিছিয়ে তৃনমূল, ভোটের প্রাক মূহুর্তে সভা-সমিতির অভাব, উঠছে প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2011 সালে জয়লাভ করলেও 2016 সালে বালুরঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজিত হতে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। মন্ত্রী হিসেবে লড়াই করা শংকর চক্রবর্তী সামান্য ভোটে হেরে গিয়েছিলেন আরএসপি দলের অন্যতম সেনাপতি বিশ্বনাথ চৌধুরীর কাছে। কিন্তু 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে বালুরঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করতে আগে থেকেই নিজের জমি মজবুত করতে শুরু করেছিলেন শঙ্করবাবু। তবে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তাকে এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে টিকিট দেওয়া হয়নি।

যার জায়গায় তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী শেখর দাশগুপ্ত। তবে রাজনৈতিক পরিপক্কতার অভাব কিংবা অন্য কোনো সমস্যা, তৃনমূলর পক্ষ থেকে শেষ মুহূর্তের প্রচারে পথসভা বাধ্যতামূলক থাকলেও এবার তা চোখে পড়তে দেখা যাচ্ছে না। কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ রয়েছে যথেষ্ট। কিছু শেষ মুহূর্তের প্রচারে বালুরঘাট বিধানসভায় তৃণমূলের কোনো রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকায় কিছুটা হলেও হতাশা তৈরি হয়েছে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে।

পথসভা থেকে শুরু করে জনসভা, এমনকি রোড শো সমস্ত কিছুই শেষ মুহূর্তের প্রচার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই শেষ ভালো যার সব ভালো তার বলে যে প্রবাদ প্রবচন শোনা যায় তৃণমূলের ক্ষেত্রে, বালুরঘাট বিধানসভায় কোনো রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকায় প্রচারে শেষ দিনে শাসক দল কতটা মানুষের মনে সাড়া জাগাতে পারবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার সময় এক নতুন সিদ্ধান্ত লাগু করে নির্বাচন কমিশন। যেখানে কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, শুক্রবার থেকে আর কোনো রকম রোড শো, মিছিল করা যাবে না। স্বাভাবিক ভাবেই সপ্তম দফার নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন শুক্রবার থাকায় শেষ পর্যন্ত রোড শো এবং মিছিল নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বাতিল করে দেওয়ায় কার্যত অস্বস্তির মুখে পড়েন বালুরঘাটের নেতাকর্মীরা।

কথা ছিল, শুক্রবার তৃণমূল প্রার্থী শেখর দাশগুপ্তের সমর্থনে একটি মহামিছিলের আয়োজন করা হবে। সেই মত করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তা বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার সাথে সাথেই রীতিমত হতাশা তৈরি হয় তৃণমূলের মধ্যে। এদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শেষ দিনের প্রচারে শুধুমাত্র মিছিলের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছিল।

সেদিক থেকে পথসভা বা অন্য কোনো কর্মসূচির ক্ষেত্রে কোনো রকম অনুমতি নেয়নি বালুরঘাটের তৃণমূল নেতৃত্ব। যার ফলে প্রচারের শেষ দিন ঘরে বসে থাকা ছাড়া তৃণমূলের কাছে যে আর কোন উপায় থাকল না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে সংযুক্ত মোর্চা থেকে শুরু করে বিজেপি, তারা নিজেদের মত করে পথসভা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতি নিয়ে ছিল।

স্বাভাবিকভাবেই সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত বালুরঘাট শহর জুড়ে শেষদিনের প্রচারে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যেতে পারে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। কিন্তু সেদিক থেকে শেষ মুহূর্তের প্রচারে অনেকটাই পিছিয়ে পড়তে পারেন তৃণমূল প্রার্থী শেখর দাশগুপ্ত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, তৃণমূল প্রার্থী শেখর দাশগুপ্তের বালুরঘাটে অনেকটাই পরিচিতি রয়েছে। এতদিন তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করেছেন। কিন্তু বালুরঘাটের পরম্পরা শেষ মুহূর্তে প্রচারে ঝড় তোলা। এমনিতেই এবার প্রচার 72 ঘন্টা আগে শেষ করতে হবে। সেদিক থেকে শুক্রবার প্রচারের শেষ সময় প্রতিটা রাজনৈতিক দলের কাছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো মিছিল-মিটিংয়ের পাশাপাশি পথসভার জন্য অনুমতি নিয়ে রেখেছে।

তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র মিছিলের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। এছাড়া বালুরঘাট বিধানসভার কোনো কর্মসূচির আয়োজন করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। যার ফলে প্রচারের শেষ দিনের আগে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে করোনার কারণ দেখিয়ে যেভাবে মিছিল বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হল, তাতে সবথেকে বেশি যে অসুবিধার মুখে পড়ল ঘাসফুল শিবির, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তাই শেষ মুহূর্তের প্রচারে বিজেপি থেকে শুরু করে বামেরা, বালুরঘাট বিধানসভায় বাজিমাত করে যেতে পারে বলেই মনে করছেন একাংশ। যদিও বা প্রচার নয়, মানুষের মন শেষ কথা বলবে বলে দাবি তৃণমূলের একাংশের। তবে যে যাই বলুক না কেন, শেষ মুহূর্তে সমস্ত রকম প্রচার প্রক্রিয়া বাদ হয়ে যাওয়া এবং তৃণমূল সেভাবে ময়দানে নামতে না পারায় দলের নেতা-কর্মীরা যে অনেকটাই হতাশ, তা বলাই যায়। তবে শেষ মুহূর্তে কোনো রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি বা প্রচার করতে না পারলেও, ভোটবাক্সে তৃণমূল কতটা দাগ কাটতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!