এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মনোবল কি সত্যিই ভেঙে পড়ছে দলের অন্দরে,কর্মীদের চাঙ্গা করতে মাঠে নামলেন স্বয়ং নেত্রী

মনোবল কি সত্যিই ভেঙে পড়ছে দলের অন্দরে,কর্মীদের চাঙ্গা করতে মাঠে নামলেন স্বয়ং নেত্রী


গত রবিবারই লোকসভা নির্বাচনে সমস্ত পর্ব মিটে যাওয়ার পর একের পর এক সমীক্ষক সংস্থার তরফে নানা সমীক্ষা প্রকাশ হতে শুরু করে। যেখানে দেখা যায় বাংলায় এবার গেরুয়া ঝড় ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই সমীক্ষা প্রকাশ্যে আসার পরই গোটা ঘটনাটি গসিপ ও এর পেছনে বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে বলে জানিয়ে দেন তৃনমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এবার ভোট গণনার পর্ব এগিয়ে আসতে না আসতেই গণনার শেষ পর্যন্ত দলীয় কর্মীদের ধৈর্য রাখার নির্দেশ দিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি জানান, “কোনো কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়ে থাকলে যদি গণনার প্রাথমিক পর্বে দলের কর্মীরা এটা বুঝতে পারে তাহলে তারা যেন ভেঙে না পড়ে‌। শেষ পর্যন্ত ভোট গণনায় নজর রাখতে হবে। কোনোরকম যাতে গোলমাল না হয় তার জন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।”

সমালোচক মহলের একাংশের মতে, এক্সিট পোল প্রকাশ্যে আসতেই কিছুটা হলেও বাংলায় গেরুয়া ঝড়ের আভাস পাওয়া নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাইতো দলীয় কর্মীদের ভোট গণনার কাজে উজ্জীবিত করতে ও মনোবল বাড়াতেই এই ধরনের টনিক দিতে শুরু করেছেন তিনি।

এদিকে বুথ ফেরত সমীক্ষায় ঝাড়গ্রামে বিজেপি এগিয়ে থাকছে বলে দেখানো হলে এদিন ঝাড়গ্রামের দলীয় নেতৃত্বদের নিয়ে গণনার সময় কিভাবে দলের কাউন্টিং এজেন্টরা কাজ করবেন তা নিয়ে সেখানে একটি বৈঠক করেন তৃনমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর এরপরই বৈঠকে দলের বেশিরভাগ কাউন্টিং এজেন্ট প্রবীণ মানুষেরা হওয়ায় কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তৃণমূল মহাসচিব। তিনি বলেন, “বয়স্কদের এই সব জায়গায় রেখে কি হবে! দলের তরুণ ছেলে মেয়েদের দায়িত্ব দিতে হবে। বিজেপি নানা জায়গায় গুজব ছড়িয়ে মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবে। কিন্তু ভুলেও এই ফাঁদে পা দেবেন না। গণনাকেন্দ্র ছেড়ে মাঝপথে কেউ কোথাও যাবেন না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা এবং গণনার সময় যাতে কোনো হিংসা না হয়, তার জন্য এদিন রাজ্য বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যপালের কাছে কি আবেদন করলেন তারা? এদিন এই প্রসঙ্গে বাইরে বেরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিভিন্ন এলাকায় আমাদের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। সবটাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পরিস্থিতি জানানোর জন্য রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছি। গণনার সময় আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হলে যে দেবতা যে ফুলে তুষ্ট তাকে সেই ফুলেই জবাব দেওয়া হবে।”

আর এই নিয়েই বিজেপির তরফ থেকে দাবি এর মধ্যেই মনোবল ভেঙে পড়লে কি করে হবে খেলা তো এখনো অনেক বাকি। মোদীজি ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন আর তৃণমূলের বড় বড় নেতা কর্মীরা সব বিজেপিতে আসবে। তৃণমূলে শুধু ‘পিসি-ভাইপো’ থাকবে। অন্যদিকে চুপ থাকলেও মুখ খুলছে কিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তাদের দাবি যে ওসব সমীক্ষা মানি না। ৪২ সে ৪২ টি আসনই পাবে তৃণমূল আর দিদিই হবেন প্রধানমন্ত্রী।

সব মিলিয়ে গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই তরজা চললেও দলীয় কর্মী সমর্থকদেরকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাতে মাঠে নামতে হচ্ছে নেত্রীকে যা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন রাজনৈতিকমহলও।কেননা তাদের মতে, তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা কর্মীরা বার বার দাবি করেছে ৪২ টি আসন পাবে তারা। শুধু নেতা নেত্রীরা কেন? স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই দাবি করেছেন তবে এক্সিট পোল দেখে কেন মনোবল হারাচ্ছে কর্মীরা,তবে কি ফলাফলের সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন কর্মীরা। আর তাই মাঠে নামতে হচ্ছে স্বয়ং নেত্রীকে ?উত্তর মিলবে ২৩ শে মে। এখন শুধু অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!