এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের আমলে দেশে ৪০ শতাংশ বেকারি বেড়েছে আর ৪০ শতাংশ বেকারি কমেছে রাজ্যে, দাবি মমতার

কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের আমলে দেশে ৪০ শতাংশ বেকারি বেড়েছে আর ৪০ শতাংশ বেকারি কমেছে রাজ্যে, দাবি মমতার


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে একদিকে দেশে বেকারত্ব বেড়েছে, সেখানে দেশে কর্মসংস্থান প্রায় নেই বলেই দাবি করেছিলেন সমাজবিজ্ঞানীরা। সেখানে নির্বাচনের আগে কেন্দ্র সরকারকে এই নিয়ে তোপ দিতে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের। আর সম্প্রতি সেই বিষয়কে সামনে রেখেই বিজেপি সরকারের আমলে দেশে ৪০ শতাংশ বেকারি বেড়েছে বলেই দাবি করতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রীকে।

শুধু তাই নয়, অন্যদিকে, এই সময়কালেই রাজ্যে মমতা সরকারের অধীনে ৪০ শতাংশ বেকারি কমেছে বলেই দাবি করতে দেখা গেছে তাঁকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার বনগাঁর গোপালনগরের জনসভা করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। আর সেখানকার জনসভা থেকেই এমনটা দাবি করতে দেখা গেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জিকে। এদিন তিনি তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন বলে জানা গেছে।

এদিন তিনি বলেন, ‘আর্থিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও যতটা সম্ভব তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সেইসঙ্গে জানুয়ারি মাস থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মীরা ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাবেন বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে অনেক রাজ্য যে বেতন কেটে নিয়েছে, বা কেউ এক মাসের বেতন বন্ধও করে দিয়েছে সেই কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা এখনও নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট হারে বেতন দিয়ে যাচ্ছি।”

আপনার মতামত জানান -

এদিন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সরকারি চাকরির জন্য কাউকে এক পয়সাও না দিতে। আর কেউ যদি চাকরি দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা চায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করার কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, মিথ্যা বলে অনেকে টাকা নেয়। কিন্তু যে যার যোগ্যতায়, অধিকারে চাকরি পাবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।

তাঁর কথায়, কারও যদি কোনও দাবি থাকে, তাহলে তাঁর দপ্তরে, বাড়ির ঠিকানায় লিখিত আকারে দাবি জানাতে। সেইসঙ্গে প্রয়োজনে পুলিশের কাছে লিখে পাঠাতে বলতেও শোনা গেছে তাঁকে। তাঁরাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই কাগজ পৌঁছে দেবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। অন্যদিকে, বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‌রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে ৮৫ হাজার কোটি টাকা পায়।

যারমধ্যে শুধুমাত্র জিএসটি হিসেবেই সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা পাওনা হয় বলেই জানান তিনি। তাঁর কথায়, এই টাকার সবটাই কেন্দ্র সরকার এই রাজ্য থেকে আদায় করে নিচ্ছে। ‌আর্থিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে রাজ্যকে চালাতে হচ্ছে। তার মধ্যে দিয়েই যতটা সম্ভব উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেই বলতে শোনা গেছে তাঁকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেইসঙ্গে রাজ্যের ৭০ লক্ষ মেয়েকে স্কলারশিপ দেওয়া থেকে শুরু করে আড়াই কোটি মাইনরিটি মানুষ আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন বলেই জানান তিনি। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, যুবশ্রীর মতো বহু প্রকল্প নিয়েও কথা বলতে দেখা গেছে তাঁকে। সবুজ সাথী প্রকল্পে নতুন করে ১২ লক্ষ সাইকেলের অর্ডার দেওয়া হয়েছে বলেও এদিন জানান তিনি।

তাঁর কথায়, করোনা পরিস্থিতির কথা বিশ্লেষণ করে অনলাইন পড়াশোনার জন্য রাজ্যের সাড়ে ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে ট্যাব দেওয়া হবে বলে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেখানে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই তাদের হাতে এই ট্যাব তুলে দেওয়া হবে বলেও জানাতে দেখা যায় তাঁকে। সেইসঙ্গে পুরোহিতদের ভাতা ১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তাঁর উদ্যোগেই কৃষকদের সাহায্যের জন্য প্রতি বছর ৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন চাল কৃষকদের কাছ থেকে রাজ্য সরকার সরাসরি কেনে বলেও জানান তিনি। সেইসঙ্গে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিত্‍সা পরিষেবা দেবার সঙ্গে ১০ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনা নিয়েও এদিন মন্তব্য করেন তিনি। আর সেই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি মানুষ যাতে রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে বছরে ৫ লক্ষ টাকার চিকিত্‍সা বিনামূল্যে পান, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সেখানে সামনের বিধানসভা নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তৃণমূল আবার সরকারে এলে ফের বিনামূল্যে রেশনে চাল, গম দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে গত ৮ বছরে বাংলায় যে পরিমাণ উন্নয়নের কাজ হয়েছে, পৃথিবীর কেউ তা করে দেখাতে পাবরে না বলেই দাবি করতে দেখা গেছে তাঁকে। তাই মিথ্যাবাদী, ধ্বংসকারী বিজেপি-‌র বিরুদ্ধে মানুষের মহাজোট তৈরি করার জন্যই এদিন সভার মঞ্চ থেকে বাংলার মানুষকে আহবান জানিয়েছেন তিনি।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!