এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা আবহে বড়সড় ‘স্বীকারোক্তি’ কেন্দ্রের! আগামী দিনের কথা ভেবে ঘুম উড়তে পারে মমতাদের!

করোনা আবহে বড়সড় ‘স্বীকারোক্তি’ কেন্দ্রের! আগামী দিনের কথা ভেবে ঘুম উড়তে পারে মমতাদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমবর্ধমান ভাবে বেড়েই চলেছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য করোনা টেস্টের পরিমান বাড়াতে বেশ কিছুদিন আগে কলকাতা সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি শহরে করোনা আইসিএমআর-এর অত্যাধুনিক তিনটি ল্যাব এর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অত্যাধুনিক এই ল্যাবগুলিতে দৈনিক ১০০০০ করোনা টেস্ট করা সম্ভব। এই ল্যাব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ভার্চুয়াল ভাবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পশ্চিমবঙ্গের পাওনা বাবদ ৫৩০০০ কোটি টাকা মিটিয়ে দেবার দাবি জানান।

তবে সেদিন রাজ্যের পাওনা এই বকেয়া অর্থ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কিছু বলতে দেখা যায়নি। শেষপর্যন্ত কেন্দ্র জিএসটি বিষয়ে নিজের বক্তব্য জানিয়েছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে যে, করোনার কারণে দেশে কর আদায়ে ব্যাপক ঘাটতি ঘটায় রাজ্যগুলিকে জিএসটির ভাগ দেওয়া কেন্দ্রের পক্ষে এই সময়ে সম্ভব নয়। সংসদের অর্থ বিষয়ক কমিটির বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রের অর্থসচিব অজয়ভূষণ পাণ্ডে। কেন্দ্রের এই বক্তব্যের পরেই রাজ্যগুলির কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, করোনার কারণে দেশে চলা কয়েকমাস ব্যাপী সুদীর্ঘ লকডাউনের ফলে থমকে গেছে দেশের অর্থব্যবস্থা। বন্ধ হয়ে পড়েছে প্রায় সমস্ত শিল্প। দেশের বেশিরভাগ উৎপাদন ক্ষেত্রগুলিও প্রায় শুন্য। আর এই কারণেই ভাটা দেখা গেছে দেশের পণ্য ও পরিষেবা কর জিএসটি সংগ্রহের ক্ষেত্রেও। আর তাই কর আদায় এর পরিমাণও হ্রাস পেয়েছে ব্যাপক ভাবে। কর আদায় হ্রাস পাবার পেছনে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক দুটি প্রধান কারণকে নির্দেশ করেছে। যার মধ্যে একটি হলো, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। অপরটি হলো করোনার সংক্রমণের কারণে কর জমা ও রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের প্রদত্ত ছাড়। তবে গত তিন মাস কেন্দ্রের কর সংগ্রহের পরিমান ধারাবাহিক ভাবে বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, কেন্দ্র কর জমা ও রিটার্ন দাখিলের সময় বৃদ্ধি করায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী, মার্চ, এপ্রিল মাসের বকেয়া রিটার্নের একাংশ জুন মাসেও জমা পড়েছে। সেই সঙ্গে মে মাসেরটা বকেয়া রিটার্নের বেশ কিছু অংশও জুন মাসে জমা পড়তে দেখা গেছে । প্রসঙ্গত গত বছরের তুলনায় এবছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসে জিএসটি সংগ্রহের পরিমান ৫৯ % কমে গেছে। এরকারণ অবশ্যই করোনার সংক্রমণের কারণে , কর জমা ও রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের প্রদত্ত ছাড়। তবে গত জুন মাসে কেন্দ্র জিএসটি থেকে ৯০,৯১৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

এই ইতিবাচক ঘটনাকে দেশের অর্থনীতির পুনরায় সচল হবার লক্ষন বলে মনে করছে কেন্দ্র। যদিও গত বছরের জুন মাসের তুলনায় এবছরের জুনমাসের জিএসটি থেকে প্রাপ্ত মোট অর্থের পরিমান ৯ % কম রয়েছে। তবে চলতি বছরের গত এপ্রিল, মে মাসের তুলনায় জুন মাসের আদায়কৃত কেন্দ্রীয় জিএসটি অনেকটাই বেশি। আর এতেই আশাবাদী কেন্দ্র। প্রসঙ্গত গত এপ্রিল ও মে মাসে জিএসটি থেকে কেন্দ্রের আদায়কৃত মোট অর্থের পরিমান হলো যথাক্রমে ৩২,২৯৪ কোটি ও ৬২,০০৯ কোটি টাকা। অন্যদিকে জুনমাসে পশ্চিমবঙ্গে মোট আদায়কৃত জিএসটির পরিমান ১১ % হ্রাস পেয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!