এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > করোনা আবহে মানুষের মুখে মাস্ক তুলে দিয়ে সচেতন করতে ময়দানে নামলেন তৃণমূলের বিধায়ক-মন্ত্রীরা

করোনা আবহে মানুষের মুখে মাস্ক তুলে দিয়ে সচেতন করতে ময়দানে নামলেন তৃণমূলের বিধায়ক-মন্ত্রীরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যেদিন থেকে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করেছে, সেদিন থেকেই সামাজিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে সকলের মধ্যে। কোনোরকম প্রতিষেধক এই মারন ভাইরাসের না থাকার কারণে লকডাউন মেনে সকলকেই চলতে হচ্ছে। কিন্তু যেহেতু মানুষ খোলা আকাশের মধ্যে বিচরণ করতে পছন্দ করেন, সেহেতু মুখে মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব এই সমস্ত কিছু পালন করতে গিয়ে অনেকেরই দম বন্ধ হয়ে আসার জোগার। অনেকেই ব্যাপারটিকে ছোট হিসেবে নিয়ে বহাল তবিয়তে ঘুরতে শুরু করেছেন।

তবে বর্তমানে যেভাবে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে যদি সচেতনতা পালন করা না হয়, তাহলে গোষ্ঠী সংক্রমনের মধ্যে দিয়ে হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে পরিস্থিতি। তাই এই অবস্থায় জনপ্রতিনিধিদের মানুষকে সচেতন করা যে বাধ্যতামূলক, তা বিশেষজ্ঞরা বারবার তাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। তাই কোচবিহার জেলায় করোনা ভাইরাসকে কিছুটা আটকাতে মাস্ক হাতে পথে নামতে দেখা গেল নেতা, মন্ত্রীদের। মূলত নেতা-মন্ত্রীদের মুখে মাস্ক দেখে যারা মাস্ক পড়ছেন না এবং যারা এখনো সচেতন হননি, তাদের কাছে যদি বার্তা পৌঁছানো যায়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন কোচবিহার জেলায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানের পর মানুষকে সচেতন করতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, বিধায়ক মিহির গোস্বামী, প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়, জেলাশাসক পবন কাদিয়ান, পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকর। আর সেখানেই মানুষের মধ্যে যাতে সচেতনতা আসে, তার কারণে নেতা-মন্ত্রীরা মাস্ক পড়ে সকলের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন। এদিন এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “সবাইকে সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। প্রশাসন পুলিশ ও স্বাস্থ্য দপ্তর কাজ করছে। তাদের যা নির্দেশিকা সবাইকে মেনে চলতে হবে “।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে কোচবিহার জেলায় করোনা ভাইরাস হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। জেলার অনেক তৃণমূলের পদাধিকারী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ক্রমশ বেগতিক হচ্ছে পরিস্থিতি। তাই এই অবস্থায় মানুষকে সচেতন করতে এখন সেই নেতা-মন্ত্রীদের মাধ্যমেই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন। তবে পরিস্থিতি সামলানোর জন্য এখন শাসক দলের নেতারা রাস্তায় নামলেও, তাদের জন্যই করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পেয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “রাজ্যের শাসক দলের নেতারাই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। নিজেরা সচেতন হওয়ার কথা বলছেন, অথচ তারাই সচেতন নন।” অর্থাৎ বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে পাল্টা চাপে ফেলার কৌশল নেওয়া হল। তবে পরিস্থিতি যখন হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে, তখন নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের ময়দানে নামিয়ে প্রশাসনের এই উদ্যোগে মানুষ কতটা সচেতন হন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!