এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > করোনা আবহে রাজ্যকে আরও পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছ করে তুলতে 2, 200 কোটির প্রোজেক্ট রাজ্য সরকারের!

করোনা আবহে রাজ্যকে আরও পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছ করে তুলতে 2, 200 কোটির প্রোজেক্ট রাজ্য সরকারের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বর্তমানে প্রবাল চিন্তায় রয়েছে রাজ্য সরকার। নগরায়নের সঙ্গে সঙ্গেই বজ্র পদার্থ বিভিন্ন জায়গায় জমা পড়ে আছে। করোনা ভাইরাসের সময় সকলকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার কথা বলা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে যদি জঞ্জালের স্তূপ থাকে, তাহলে ভাইরাসের দাপট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সেই সমস্যার মোকাবিলা করতে এবার উদ্যোগ নিল রাজ্যের পুরো এবং নগরোন্নয়ন দপ্তর।

জানা গেছে, কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী দুই এলাকায় এবার চারটি বড় প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। যার বাস্তবায়নে প্রায় 2 হাজার 200 কোটি টাকা খরচ হবে বলে খবর। শুধু তাই নয়, রাজ্যের 69 টি ছোট পৌরসভাকে বজ্র ব্যবস্থাপনার জন্য একটি প্রকল্প গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। যেখানে প্রায় সাত থেকে আট কোটি টাকা ব্যয়ে 33 টি পৌরসভায় ইউনিট গড়ে তোলার জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। অর্থাৎ বর্তমান পরিস্থিতিতে বজ্র পদার্থ স্তুপ যাতে কোথাও না হয়ে থাকে তার জন্যই রাজ্যের পৌর এবং নগরোন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতবছর ভারতবর্ষের অধিক জনসংখ্যার পৌরসভাগুলোকে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট 2016 চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল গ্রীন ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে। যেখানে বাড়ি থেকে বজ্র পদার্থ বের করা, রাস্তার আবর্জনা সাফাই এবং প্লাস্টিক বন্ধ করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। যার কারণে রাজ্য সরকারকে গ্রীন ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে এক কোটি টাকা অন্তর্বর্তী পরিবেশ ক্ষতিপূরণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এর পরেই আদালতের এই নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে বজ্র পদার্থ ব্যবস্থাপনায় বেশি করে উদ্যোগ নিতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই পাইলট প্রকল্পের কাজ অনেক পৌরসভাতেই শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে বৈদ্যবাটিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইউনিট গড়তে 600 কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও রাজ্যজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে 80 লক্ষ ডাস্টবিন বিলির কাজ শুরু করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে জঞ্জালের উপদ্রব যদি বাড়তে শুরু করে, তাহলে নানা অসুখ সৃষ্টি হবে। কেননা এমনিতেই করোনা ভাইরাসের সময় তা মোকাবিলা করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে সকলকে। যত দিন যাচ্ছে, তত বাংলায় বাড়ছে করোনা ভাইরাসের দাপট। তাই এমতাবস্থায় পরিবেশ বিধিকে মান্যতা দিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া এই উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সকলে। তবে বজ্রপদার্থ অপসারণ করতে পৌর এবং নগরোন্নয়ন দপ্তরের পরিকল্পনা কতটা সার্থক হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!