এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করুন চিত্র! লকডাউনের জেরে কর্মহীন বড় বড় ডিগ্রিধারীরাও এখন তাকিয়ে ১০০ দিনের কাজের দিকে!

করুন চিত্র! লকডাউনের জেরে কর্মহীন বড় বড় ডিগ্রিধারীরাও এখন তাকিয়ে ১০০ দিনের কাজের দিকে!


দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে শুরু হয়েছিল লকডাউন এবং এই লকডাউন এর জেরে একের পর এক চাকরি, ব্যবসা বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। অন্যদিকে দেশের অর্থনীতির অবস্থাও ভয়ানক হয়ে দাঁড়ায়। পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে একের পর এক কোম্পানি শুরু করে ছাঁটাই প্রক্রিয়া। যার ফলে দেশের বহু শিক্ষিত যুবক কাজ হারিয়ে ফেলে রাতারাতি। শোনা যাচ্ছে, একসময় যাঁরা মোটা অংকের মাইনেতে চাকরি করতেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা হয়ে পড়েছেন বেকার।

ফলে জীবনযুদ্ধের এই লড়াইতে জেতার জন্য যে কোন কাজকে বেছে নিতে পিছপা হচ্ছে না শিক্ষিত যুবকের দল। আপাতত পেটের খাবার নিশ্চিত করতে অনেকেই 100 দিনের কাজে নাম লেখাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে উচ্চ ডিগ্রিধারীরা এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুকুর খোঁড়া, গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করার মতন কাজ পেতে তৎপর হয়ে উঠেছেন বলে জানা যাচ্ছে। যেমন রোশন কুমারের বাড়ি লখনৌতে। তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী।

কিন্তু লকডাউনে মোটা মাইনের চাকরি হারিয়েছেন। বর্তমানে 100 দিনের কাজে নাম লিখিয়েছেন সংসার চালানোর জন্য। ঠিক একই অবস্থা সত্যেন্দ্র কুমারেরও। তিনিও বিবিএর ডিগ্রিধারী, কিন্তু লকডাউনের জেরে কাজ হারান। আপাতত 100 দিনের কাজে নাম লেখানো ছাড়া অন্য কোন রাস্তা তিনি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের এবার 100 দিনের কাজে নথিভূক্ত করানোর পরিকল্পনা চলছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই প্রসঙ্গে জুনেদপুরের গ্রাম প্রধান বীরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, 100 দিনের কাজের আবেদনকারীদের মধ্যে লকডাউন এর কাজ হারানো কুড়ি থেকে ত্রিশ শতাংশ যুবক রয়েছেন যারা উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেছেন এবং মোটা মাইনের চাকরি ছেড়েছেন। অন্যদিকে পরিসংখ্যান শোনাচ্ছে আশঙ্কার কথা। দেশের 14 কোটি মানুষের কাছে জব কার্ড রয়েছে বলে খবর। এবং প্রত্যেককে যদি 100 দিনের কাজে লাগাতে হয় তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ হবে 2.8 লক্ষ কোটি টাকা।

এখনো পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তাতে পয়লা এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশ জুড়ে প্রায় 35 লক্ষ মানুষ 100 দিনের কাজের জন্য আবেদন করেছেন। অতএব বোঝাই যাচ্ছে, প্রত্যেককে কাজ দিতে গেলে সরকারকে 100 দিনের কাজে বরাদ্দ আরো বাড়াতে হবে। যা এইমুহুর্তে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতে অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ দু’মাস লকডাউন এর ফলে দেশের সরকারের আয়ের পরিবর্তে ব্যয় বেড়েছে।

সরকারী পরিসংখ্যান বলছে, একসঙ্গে এত কাজের আবেদন এই দশকে আগে কখনো জমা পড়েনি। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, দেশজুড়ে এই একই ছবি বর্তমানে। লকডাউনের ফলে বর্তমানে অশিক্ষিত এবং শিক্ষিতর ফারাক অচিরেই ঘুচে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত সংসার চালানো এবং খাবার জোগাড় করাই মূল উদ্দেশ্য। আর তার জন্য সত্যেন্দ্র ও রওশনের মতন বহু শিক্ষিত স্নাতকোত্তর বা উচ্চ ডিগ্রিধারীরা ছেলেরা উত্তর প্রদেশের দিনমজুর হিসেবে কাজ করতে ইচ্ছুক বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!