এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > “কোথায় যাচ্ছে বাংলা। এটা বাংলার মানুষকেই ভাবতে হবে।” -রাজ্যের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে আশঙ্কা বিজেপি নেতার

“কোথায় যাচ্ছে বাংলা। এটা বাংলার মানুষকেই ভাবতে হবে।” -রাজ্যের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে আশঙ্কা বিজেপি নেতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ যেকোনো সময়ে ঘোষিত হবার সম্ভাবনা আছে। যে কোন সময় বলবৎ হতে পারে আদর্শ আচরণ বিধি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। একদিকে রাজ্যের শাসন ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল। অন্যদিকে রাজ্যের ক্ষমতা দখলে তৎপর হয়ে উঠেছে বিজেপি। আবার জোটের মাধ্যমে রাজ্য রাজনীতিতে বড়সড় দাগ কাটতে চাইছে বাম ও কংগ্রেস দল। তাদের এই জোটে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে আব্বাস সিদ্দিকীকে।

এবার এই পরিস্থিতিতে এক বিশেষ টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।প্রসঙ্গত, রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটের সিংহভাগ একসময় কংগ্রেস ও এক সময়ে বামদলের কেন্দ্রীভূত ছিল। এখন সেই ভোট অনেকটাই তৃণমূলের কেন্দ্রীভূত। এই সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ককে ফিরে পেতে বাম-কংগ্রেস জোটে আব্বাস সিদ্দিকীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বস্তুত, সংখ্যালঘু ভোট অমূল্য সম্পদ রাজ্যের এই তিন দল তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেসের কাছে। এছাড়া রাজ্যের শতাধিক বিধানসভার নির্ণায়ক শক্তি হল সংখ্যালঘু ভোট। তাই এই তিন দলের তীব্র প্রচেষ্টা, সংখ্যালঘু ভোট যেন নিজেদের করায়ত্ত থাকে। এবার এই তিন দলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে কব্জার চেষ্টাকে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

এই টুইট করে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় লিখেছেন, ” পশিমবঙ্গের সমীকরণ ! পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি তৃণমূলের উপমুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেস আর সিপিএম জোটের মুখ্যমন্ত্রী আবদুল মান্নান। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কোথায় যাচ্ছে বাংলা। এটা বাংলার মানুষকেই ভাবতে হবে।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, এই টুইটের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় অভিযোগ করেছেন, সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংকের নামে তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম ইত্যাদি রাজনৈতিক দল গুলি রাজ্যে ইসলামীকরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ কারণেই আব্দুল মান্নান, পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী, ফিরহাদ হাকিম প্রমুখদের নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। আবার বেশ কিছু বিশ্লেষক বলছেন যে, একদিকে যেমন সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের কাছে টানার তীব্র প্রচেষ্টায় এই তিন দল, তখন ভিন্ন বার্তা দিয়ে হিন্দু ভোটকে একত্রিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। অর্থাৎ, বলা যায় সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া কার্জকরি। যার দ্বারা রাজ্য রাজনীতিতে চলছে মেরুকরণের প্রচেষ্টা, এমনটাও অনেকের দাবি।

এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানালেন যে, বিজেপি বিভাজনের রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। বিজেপির মজ্জায় আছে এই বিভাজনের রাজনীতি। মুসলমানরাও হলেন ভারতীয়। সকলের মতো তাদেরও সমান অধিকার আছে। বিজেপি ভোটের কারণে হিন্দু- মুসলিম ভাগ করতে চাইছে। বস্তুত, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক মেরুকরণ হবার একটা প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। রাজ্যের সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু ভোটব্যাঙ্কের মেরুকরণ, রাজ্য রাজনীতির সমীকরণকে অনেকটাই বদলে দিতে পারে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!