কঠিন লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যপূরণ হল না তেজস্বীর, সামনে এলো বড়সড় ভুলের কথা কংগ্রেস জাতীয় রাজনীতি November 11, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিহারের বেশিরভাগ বুথ ফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট দাবি করেছিল যে, এবারের বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন মহাজোট বড় জয় নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে। বুথ ফেরত সমীক্ষার দাবি শেষ পর্যন্ত মেলেনি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরেও পিছিয়ে যায় মহাজোট। গতকাল গভীর রাতে গণনা শেষে দেখা গেল এনডিএ জোটের হাতে রয়েছে ১২৫ টি আসন, মহাজোটের হাতে ১১০ টি, আসাউদ্দিন ওয়েইসির এআইএমআইএম দলের হাতে ৫ টি, এলজেপির হাতে ১ টি, বসপার হাতে ১ টি। জোরদার লড়াই করেও কেন শেষ পর্যন্ত হারতে হল মহাজোটকে? যা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মহাজোটের এই পরাজয়ের জন্য কংগ্রেসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। প্রসঙ্গত বিহারের রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রভাব প্রায় মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে। এর উপরে নির্বাচনী প্রচারে যেমন তৎপরতা দেখা যায়নি কংগ্রেসের। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী যখন দফায় দফায় ভোট প্রচার করছেন, তখন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে বিহারে দেখা আসেনি। ভোট প্রচারের সময় হঠাৎ সিমলায় ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরাও আসেননি বিহারে। একারণেই মহাজোটের সবচেয়ে দুর্বল বলে প্রমাণিত হয় কংগ্রেস। আবার অনেকে মনে করছেন যে, কংগ্রেসকে বেশি আসলে লড়তে দিয়েই এমন পরাজয় এসেছে মহাজোটের। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি লড়াই করেছিল ১৪৪ টি আসনে, কংগ্রেস করেছিল ৭০ টি আসনে, বাম করেছে ২৯ টি আসনে। এখানে দেখা যাচ্ছে ,এতগুলি আসনে লড়াই করেও কংগ্রেস মাত্র ১৯ টি আসন পেয়েছে। সেখানে বামেরা ২৯ টি আসনে লড়াই করেও জিতেছে ১৮ টি আসন। কংগ্রেসের শরদ যাদবের মেয়ে সুহাসিনী শরদ যাদব, শত্রুঘ্ন সিনহার ছেলে লব সিনহা পর্যন্ত পরাজিত হয়েছেন। কংগ্রেসের স্ট্রাইক রেট অত্যন্ত কম। তারা চার নম্বরে নেমে এসেছে। গত বিধানসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস কোন উল্লেখযোগ্য ফল লাভ করতে পারেনি। কিন্তু এরপরও আসন রফার ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে অধিক সুবিধা দিয়েছিলেন তেজস্বী যাদব। কংগ্রেসও আসন ছাড়ার ক্ষেত্রে একেবারেই অনমনীয় অবস্থান নিয়েছিল। এর ফলেই মহাজোটের পরাজয় ঘটেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে বিহারে জাতপাতের রাজনীতির বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। কংগ্রেসকে বেশি আসন দিতে গিয়ে জাতপাতের হিসেবে গরমিল হয়েছে। কংগ্রেসকে অতিরিক্ত আসন দিতে গিয়ে মুকেশ সাহানির ভিআইপি পার্টি, জিতন রাম মাঝির হাম, উপেন্দ্র কুশওয়াহকে উপযুক্ত সংখ্যক আসন দেওয়া সম্ভব হয় নি। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে জিতন রাম মাঝি, মুকেশ সাহানি এনডিএ জোটে চলে যান। উপেন্দ্র কুশওয়াহ চলে যান চতুর্থ ফ্রন্টে। কিন্তু এই তিনটি দল যদি মহাজোটে থাকতো, তাহলে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যেতে পারত। কুশওয়াহা কুরমি ভোট, সাহানি নিষাদ ভোট, মাঝি মল্লা, মহাদলিত ভোটের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ মহাজোটে আনতে পারতেন। জাতপাতের রাজনীতিতে যা বিশেষ সুবিধা দিতে পারতো। কিন্তু কংগ্রেসকে বেশি আসন দেওয়ায় তা আর হয়ে ওঠেনি। এদিকে বিহারে কংগ্রেসের নিজস্ব ভোট ব্যাংক প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। বিহারের মাত্র ৭% ভোট রয়েছে কংগ্রেসের, তবে জোট করায় তা বেড়ে ১০% শতাংশ হয়েছে। কংগ্রেসকে অধিক গুরত্ব দেওয়ায় হার হলো মহাজোটের এমনটাই বিশ্লেষকদের মতামত। আপনার মতামত জানান -