কঠোরতম লকডাউনই কি আশার আলো? ২০ দিনে একজনও সংক্রামিত না হওয়ায় নতুন করে চিন্তা ভাবনা শুরু? অন্যান্য আন্তর্জাতিক শরীর-স্বাস্থ্য November 21, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা সংক্রমণ রুখতে একটি মোক্ষম অস্ত্র হল লকডাউন। যদিও লকডাউনের ফলে জীবন-জীবিকার সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু করোনা রোধে লকডাউন যে একটি মোক্ষম দাওয়াই, তা আবার প্রমাণ করে দিল অস্ট্রেলিয়া। কঠোর লোকডাউন পালন করে করোনার প্রকোপ রোধ করা সম্ভব হল সে দেশে। প্রসঙ্গত দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়াতে বিশ্বের সবচেয়ে কড়া লকডাউন শুরু হল গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে। সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হলো যে, আউটডোর ব্যায়াম, কুকুর নিয়ে হাটা সহ সমস্ত কিছু নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে যে, ছ’দিনের জন্য কোন একটি পরিবারের একজন প্রতিনিধিই বাইরে বের হতে পারবেন। তবে জরুরি প্রয়োজন হলেই বাইরে বের হতে দেয়া হবে। এসবের সঙ্গে স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়, কাফে, রেস্তোরাঁ সমস্ত কিছু বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে নিষিদ্ধ করে দেয়া হলো বিবাহ, শেষকৃত্যর মতো অনুষ্ঠানও। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় কড়া লকডাউন জারি করা প্রসঙ্গে সে রাজ্যের প্রধান স্টিফেন মার্শাল জানালেন, ” আমরা শক্ত হতে চাই, আগে যেতে চাই, কিন্তু এর বাইরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেরোতে চাই।” প্রসঙ্গত দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী অ্যাডিলেডে করোনা আক্রান্ত ২৩ জন। একটি হোটেলে বিদেশ থেকে আসা কয়েকজন কোয়ারেন্টাইন করেছিলেন। এই হোটেলের একজন ক্লিনার প্রথমে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর ২৩ জন আক্রান্ত হন। সে দেশে করোনার ব্যাপক সংক্রমণ রোধ করতে সার্কিট ব্রেকার পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার জানালো স্বাস্থ দপ্তর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজ্যের প্রধান স্টিভেন মার্শাল জানালেন যে, করোনা ভাইরাস এতটা ভয়াবহ যে, আক্রান্তদের রোগের কোন উপসর্গ দেখা যায় না। তাঁর কথায়, সবচেয়ে বেশি আক্রমণের সম্ভাবনা আছে উপরতল থেকে। তিনি জানালেন যে, এই জীবাণুর উন্মেষপর্ব খুব কম। যা মাত্র ২৪ ঘন্টা। এটা যথেষ্ট আশঙ্কার যে, যারা করোনা সংক্রামিত হচ্ছেন, তাদের শরীরে করোনার কোন লক্ষ্মন দেখা যাচ্ছে না। যা দেখে করোনা শনাক্ত করা সম্ভব। প্রসঙ্গত দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা ১.৭ মিলিয়ন। এ রাজ্যের আয়তন বৃটেনের পাঁচগুণ। করোনা সংক্রমনের শুরু হলে দেশজুড়ে লকডাউন করে গোষ্ঠী সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়েছে। আবার, এর প্রতিবেশী রাজ্য ভিক্টোরিয়াতে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে মেলবোর্ন শহরের ৩ মাসের কঠোর লকডাউন জারি করা হল। যার দ্বারা করোনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তবে অস্ট্রেলিয়াতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ইউরোপ ও আমেরিকার থেকে যথেষ্ট কম। ভিক্টোরিয়া রাজ্যে সংক্রমণে লাগাম দেওয়া সম্ভব হয়েছে কড়া লকডাউনের কারণে। গত আগস্ট মাসে যে রাজ্যে প্রতিদিন ৭০০ জন করোনা আক্রান্ত হচ্ছিলেন, গত ২০ দিন হয়ে গেছে, সেখানে একজনেরও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি। যা প্রমাণ করে যে কঠোর লকডাউন করে করোনা সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব। আপনার মতামত জানান -