এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কট্টর বিরোধীর গলায় গেরুয়া শিবিরের প্রশংসা, বাড়তি অক্সিজেন বিজেপির, চাপে বিরোধীরা!

কট্টর বিরোধীর গলায় গেরুয়া শিবিরের প্রশংসা, বাড়তি অক্সিজেন বিজেপির, চাপে বিরোধীরা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এক সময় তারা একে অপরের পরিপূরক হলেও, বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা ভালো নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের নানা সিদ্ধান্তে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে মহারাষ্ট্রের শাসন ক্ষমতায় থাকার শিবসেনাকে। এমনকি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শিবসেনা নেতা-নেত্রীদের ঘনিষ্ঠতা আগামী দিনে বিজেপির বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিতে পারে বলেই মনে করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই 2024 এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে এককাট্টা করতে বিরোধীদের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি।

কিন্তু তার মাঝেই এবার বিরোধীদের কার্যত চাপে ফেলে দিয়ে শিবসেনার মুখপাত্র  নরেন্দ্র মোদীর নয়া মন্ত্রিসভার ভূয়সী প্রশংসা করা হল। যাকে কেন্দ্র করে 2024 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে আবার বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার ঘনিষ্ঠতা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন একাংশ। যার জেরে ব্যাপক চাপে পড়ে যেতে পারে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বলেও দাবি করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন শিবসেনার মুখপাত্র  “সামনা”তে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কেন্দ্রের নতুন সমবায় মন্ত্রী করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সমালোচক মহলকে কার্যত কটাক্ষ করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে শিবসেনার এই মুখপত্র। যেখানে লেখা হয়েছে, “অমিত শাহ যদি দেশের কো অপারেটিভ সেক্টরের উন্নতি করতে চান, তাহলে তাতে আপত্তির কিছু নেই। সেটা দেশের পক্ষে ভাল হবে। এই বিষয়ে অনেকে ভয় ধরানোর চেষ্টা করছেন এই বলে যে, নতুন মন্ত্রককে কাজে লাগিয়ে অমিত শাহ এনসিপি এবং কংগ্রেস নেতাদের পুরনো মামলা তুলে ধরে ভয় দেখিয়ে জোট ভাঙার চেষ্টা করবে। কিন্তু আমাদের মনে হয়, এটা অমিত শাহের অপমান।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর বিভিন্ন বিষয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করা শিবসেনার মুখপাত্রের মধ্য দিয়ে এভাবে নরেন্দ্র মোদীর সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভার যেভাবে প্রশংসা করা হল, তাতে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। একাংশ বলছেন, বিরোধী জোটের সম্ভাবনা তৈরি হলেও, এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। সেদিক থেকে সেই বিরোধী জোটে যদি একবার শিবসেনা শামিল হয়ে যায়, তাহলে তাদের পক্ষে আর সেখান থেকে পিছু হটা সম্ভব হবে না। তাই নিজেদের ভাবমূর্তি এবং ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিকল্পনাকে জিইয়ে রাখবার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার প্রশংসা করে বিজেপির ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্ঠা করল শিবসেনা নেতৃত্ব বলেই দাবি করছেন একাংশ।

অনেকে বলছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হওয়ার পরেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে তাকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিজেপি এই নবগঠিত মন্ত্রিসভা গঠনের মধ্য দিয়ে বিরোধী নেতাদের চাপে রাখবে বলেও দাবি করতে দেখা গিয়েছে একাধিক বিরোধী নেতাকে। স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মত এই মন্ত্রিসভা নিয়ে শিবসেনার প্রতিক্রিয়াও এক হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু কার্যত উল্টো পথে হেঁটে বিজেপির প্রতি সুর নরম করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রশংসা করতেই দেখা গেল এক সময়কার বিজেপি ঘনিষ্ঠ শিবসেনাকে।

যার ফলে একাংশ মনে করছেন, শিবসেনা বুঝতে পেরেছে, ভবিষ্যতে বিরোধীরা খুব একটা দাগ কাটতে পারবে না। আর সেই কারণে সুর নরম করে বিজেপির এক সময়কার সঙ্গী আবার গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করলেন। আর সেই কারণেই নিজেদের মুখপত্রের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা সম্প্রসারণের বিষয়টি তুলে ধরে প্রশংসা করতে দেখা গেল তাদের। তবে শিবসেনার এই প্রশংসা আগামী দিনে বিজেপির সঙ্গে তাদের জোটের পথকে কতটা প্রশস্ত করে, আবার পুরনো সঙ্গীর হাত ধরে কিনা ভারতীয় জনতা পার্টি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!