এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কট্টর বিরোধী শুভেন্দুর গলায় সিপিএমের প্রশংসা, তৃণমূলকে বিপাকে ফেলার কৌশল? বাড়ছে জল্পনা!

কট্টর বিরোধী শুভেন্দুর গলায় সিপিএমের প্রশংসা, তৃণমূলকে বিপাকে ফেলার কৌশল? বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এর আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের বক্তব্যে বারবার স্পষ্ট হয়েছে, সিপিএমের আমলে গণতন্ত্র না থাকলেও, তৃণমূলের আমলে যেভাবে মানুষের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে, তেমনটা বামপন্থীদের সময় হয়নি। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়ের সতীর্থ তথা রাজ্য মন্ত্রীসভার প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির বিরোধী দলনেতা হিসেবে সেই একই অভিযোগ করে সিপিএমের সময় থেকে বর্তমান তৃণমূল যে আরও বেশি ভয়ানক, তা নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন।

বস্তুত, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তীতে তাকে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে টিকিট দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে জয়লাভ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

তবে বর্তমানে যখন দুর্যোগ শুরু হয়েছে রাজ্যে এবং মানুষের পাশে থাকার জন্য কারও রাজনীতির দেখা উচিত না বলে দাবি করা হচ্ছে, ঠিক তখনই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে কট্টর বাম বিরোধী হিসেবে পরিচিত শুভেন্দু অধিকারীর গলায় কিছুটা হলেও সিপিএমের প্রশংসা শোনা গেল। যার ফলে একসময় তৃণমূলের হয়ে লড়াই করা শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপির বিরোধী দলনেতা হিসেবে সিপিএমের প্রশংসা করে তৃণমূলকে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে ফেলে দিলেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাকে। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, “মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে কেন্দ্র চুপ থাকতে পারে না। হত্যার সংখ্যার 30 পেরিয়ে গিয়েছে। নানুর থেকে খেজুরি, একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলকে যারা ভোট দিয়েছে, তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোলিং এজেন্ট পরিমল গিরির বাড়িতে থাকা গাড়ি পুড়িয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। দাউদপুরে অতনু পন্ডার দোকান লুট করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা আর বিজেপিকে উপেক্ষা করা মানে রাজ্যের 2 কোটি 27 লক্ষ ভোটারকে উপেক্ষা করা।”

আর এর পরেই বিগত দিনে বামপন্থীদের আমলের কথা তুলে ধরেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “হামলা, অত্যাচার সিপিএমের আমলেও ছিল। কিন্তু বাড়িতে ঢুকে নুনের বাটিটা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।” আর বর্তমান পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী একথা বলে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, সিপিএমের আমলেও তিনি লড়াই আন্দোলন করেছেন। তখন তিনি ছিলেন বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। কিন্তু তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর যেভাবে তৃণমূল হামলার ঘটনা ঘটাতে শুরু করেছে, তাতে তারা বিগত দিনে বামপন্থী আমলকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে বলে বোঝানোর চেষ্টা করলেন হেভিওয়েট এই বিজেপি নেতা। আর শুভেন্দু অধিকারীর মতো কট্টর বাম বিরোধী নেতার গলায় এই মন্তব্য যে তৃণমূলকে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে ফেলে দেবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!